অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


৮০ দিনে বিশ্বভ্রমণ করলেন ৮১ বছরের দুই বৃদ্ধা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ই এপ্রিল ২০২৩ বিকাল ০৪:১০

remove_red_eye

২৮৫

বয়স দুজনেই ৮১ এর কোঠায়। এ বয়সীদের বেশিরভাগই হয়তো অবসর জীবন কাটান। তবে দুই বান্ধবী বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অদম্য ইচ্ছা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে। সব প্রতিকূলতাকে জয় করে ৮০ দিনে বিশ্বভ্রমণ করে দেখালেন ৮১ বছরের দুই বৃদ্ধা।

পেশায় চিত্রগ্রাহক এলি হ্যাম্বি ও পেশায় চিকিৎসক স্যান্ডি হেজলিপ, দুই বান্ধবী জীবনের ৮০ বসন্ত পার করে বিশ্বভ্রমণে বের হন। ইন্দোনেশিয়ার বালির সমুদ্রের নীল জলরাশি থেকে মিশরের পিরামিড হয়ে আন্টার্কটিকা। ৮০ দিনে বাদ যায়নি পৃথিবীর কোনো প্রান্ত।

সিএনএন’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এলি জানান, আন্টার্কটিকা পৌঁছাতে দুর্গম ওই পার্বত্য গিরিখাতে দু’দিন ধরে আমরা একে অপরকে আঁকড়ে ধরে শুধু বেঁচে থাকার চেষ্টা চালায়।

তবে যে সময় আমাদের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে, আমরা যখন আন্টার্কটিকায় পা রেখেছি তখনই সব কষ্ট ভুলে গিয়েছি। চোখের সামনে পেঙ্গুইনের দল, হিমশৈল, হিমবাহ এসব কখনো ভোলার নয়।

১৯৯৯ সালে স্যান্ডির স্বামী মারা যাওয়ার পর এলির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের এই বন্ধুত্ব আরও মজবুত হয় ২০০৫ সালে এলির স্বামী মারা যাওয়ার পর।

এলি জানান, বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই ছিল। তবে আমরা দুজনেই সঠিক বয়সের অপেক্ষা করছিলাম। এমনকি কোভিড পরিস্থিতিতেও আমরা বাড়িতে বসে থাকিনি।

এই পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় ৭ প্রান্তের ১৮ দেশ ঘুরেছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা বেশ জনপ্রিয়। ‘ট্রাভেলিং গ্র্যানিস’ নামে তাদের একটি চ্যানেলও আছে।

যেখানে তারা নিজেদের ঘুরে বেড়ানোর নানা অভিজ্ঞতা অনুসারীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন। বিভিন্ন দেশে ঘোরার অভিজ্ঞতা ওই চ্যানেলে তারা তুলে ধরেন তথ্যচিত্রের মাধ্যমে।

গত তিন মাস ধরে, এই জুটি মিশরে উটে চড়েছেন, বালিতে হাতির সঙ্গে দেখা করেছেন, নেপালে নাচ করেছেন ও ফিনল্যান্ডে নর্দার্ন লাইটস দেখেছেন।

যদিও হ্যাম্বি ও স্যান্ডি তাদের এ পর্বের ভ্রমণ শেষ করে টেক্সাসে বাড়ি ফিরেছেন। তারা সিএনএনকে জানান, এরই মধ্যে পরবর্তী ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন।

অন্যান্য বয়স্কদেরকেও ভ্রমণে উৎসাহ দিচ্ছেন তারা দুজন। বয়স যেন ভ্রমণপিপাসুদেরকে আটকে না রাখে, তা জানান দিচ্ছেন হ্যাম্বি ও স্যান্ডি।

সুত্র জাগো