অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


গ্রাম বাংলার পিঠা এখন স্মৃতি হয়ে গেছে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ রাত ০৩:২৯

remove_red_eye

১৯৩৫




এম শরীফ আহমেদ : কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে  ঐতিহ্যবাহী  গ্রাম বাংলার বাহারি পিঠা। একসময় পাড়ায়-পাড়ায়, মহল­ায়- মহল­ায় ছোট- বড়
সকলেই পিঠা খাওয়ার আনন্দে মেতে উঠত। কিন্তু এখন তা আর চোখে পড়েনা।

কর্মচাঞ্চল্য এই ব্যস্তময় জীবনের গর্ভে তা এখন হারিয়ে যাচ্ছে। যতই শীত বাড়ে ততই যেন মানুষের পিঠা বানানোর ব্যস্ততা বেড়েই চলত। শীতকাল আসলে ভোলার গ্রাম-গঞ্জে, ফুট- পাত হতে শুরু করে প্রতিটি ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর ব্যস্ততা বেড়ে যেত। বাহারি রকমের পিঠা তৈরির উৎসবে আÍহারা হত সর্বস্তরের মানুষ।
শীতের এই সময়ে ভোলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতি ঘরেই চিতল, দুধচিতল, পুলি,নকশি,পাটিসাপটা, ভাপা,পাখন, তেলে ও গোটা পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন গৃহিণীরা।কিন্তু কালের বিবর্তনে ও কর্মচাঞ্চল্যের কারণে এ এলাকার মানুষ এখন বাড়িতে পিঠা তৈরির সেই উৎসবমুখর আমেজ হারিয়েছেন।

সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবন যাত্রা বদলে যাচ্ছে অনেক। কালের বিবর্তনে সাথে সাথে আমাদের গ্রামীন সংস্কৃতি গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। জেলার মনপুরা উপজেলার  গৃহিণী নুরনাহার বেগম বলেন, শীত আসলে আগে কত ধরণের পিঠা বানাতাম। সারা রাত বসে ঢেঁকিতে চাল গুড়া করতাম এবং ভোরে উঠে পিঠা বানাতাম সবাই মিলে।

ছেলে মেয়েরা আনন্দের সাথে পিঠা খেয়ে স্কুলে চলে যেত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে পিঠা তৈরি হয় না। আগের সেই পিঠা বানানোর আমেজ হারিয়ে গেছে অনেক দিন আগে। এখন সবাই পিঠা বাজার থেকে কিনে এনে খায়। এতে কোন আনন্দ- উৎসাস থাকে না। গ্রামের গৃহিণীদের মধ্যে আগের মত পিঠা বানাননোর উৎসব নেয়।হরেক রকমের পিঠ আমাদের নতুন প্রজন্ম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। তাই পিঠা বানাননো টা এখন স্মৃতি হয়ে গেছে।