অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


একুশের বই মেলায় এলো কাজী নুসরাত শরমীনের কাব্যগ্রন্থ উঠে দাঁড়াবার কালে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ভোর ০৫:৪৫

remove_red_eye

১৪১১



শাহীন কামাল : সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বড় হওয়া কাজী নুসরাত শরমীন কর্ম জীবনে আপাদমস্তক সাংবাদিক। নানা দৈনিক পত্রিকায় কলাম লিখছেন নিয়মিত। কবিতা ছাপা হচ্ছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে। শিক্ষকতাও করেছেন বেশ কয়েক বছর। ছোটবেলা থেকে অন্যের কবিতা কন্ঠে ধারণ করলেও হৃদয়ে লালন করেছেন দৃশ্যত নানা অসঙ্গতি, ক্ষোভ, দ্রোহ, কষ্ট, ভালবাসা, ক্ষণিকের জীবন চলে যাওয়ার আকুতি। জীবনকে দেখেছেন নিজের মতো করে। জীবনবোধের এই দৃশ্যমান সত্যকে ভেঙে গড়ে কাব্যিক রূপ দিয়েছেন। "উঠে দাঁড়াবার কালে" কবির একান্ত অনুভূতির নিপুণ বিন্যাস। যাপিত জীবনের ছোট ছোট ঘটনা প্রবাহের শৈল্পিক বিশ্লেষণ। যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা সমাজের বাস্তব চিত্র। 'নারী' কবিতায় প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে নারী বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরেছেন। 'উঠে দাঁড়াবার কালে" কবিতায় নারীর অসহায়ত্বেও শেকড় ছুড়ে ফেলার স্বপ্ন  দেখেছেন। বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরকালীন টানাপোড়েন দেখিয়েছেন 'ব্যানবেইস' কবিতায়। প্রিয়জন হারানোর হাহাকারের সাথেও জীবনের জয়গান করেছেন কবি। জীবনকে ভালবেসে মৃত্যু ভয়ে কবি লিখেছেন, "জীবন এত ছোট কেনে"। সমাজের নানা অসঙ্গতিতে ক্রোধে ফেটে পড়েছেন কখনো কখনো। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন সুনিপুণভাবে। নির্ঝও নৈশব্দ্যের প্রচ্ছদে বইটিতে মুক্তিযুদ্ধ, সাম্প্রতিক ট্রাজেডি, প্রকৃতি, প্রেম, প্রণয়, স্বপ্ন, ঘৃণা বিষয়ক ৫৬ টি কবিতা রয়েছে। শ্রাবণ কর্তৃক প্রকাশিত বইটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলেও বেশ পরিপক্কতার ছাপ রয়েছে বইটিতে। কবিতা  প্রেমিকদের কাছে বইটি বেশ সমাদৃত হবে বলে মনে করছি। বইমেলার পাঠক সমাবেশ, ২৫ নং প্যাভিলিয়নে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইনে রকমারি থেকেও বইটি সংগ্রহ করা যাবে।    
কবি কাজী নুসরাত শরমীনের জম্ম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নদী-সমুদ্র ঘেরা দ্বীপ জেলা  ভোলায়। লেখালেখি, সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্রের  তালিকাভুক্ত শিল্পী। উপস্থাপনা, রবীন্দ্র সংগীত, আবৃত্তি প্রশিক্ষক হিসেবেও জড়িত রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নারী জাগরণ নামে তার মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়। অনুবাদ করেছেন আফসান  চৌধুরীর গ্রন্থ " বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ" নামে।