অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


লালমোহনে বাগানের গাছ কেটে জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ই মে ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৬

remove_red_eye

৭২

লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে বাগানের সুপারি গাছ কেটে জোরপূর্বক ভাবে ওই জায়গা দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত (১৩ মে) মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ধলীগৌরনগর ১নং ওয়ার্ড সাজি চৌমুহনী বাজার এলাকার এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ওমর ফারুক জানান,আমার সহোদর বোন দীর্ঘদিন ধরে আমার নিকট জমি পাবে বলে আমাকে মানসিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার নির্যাতন করে জমি দখলের পায়তারা করছে। তিনি আরো জানান,১৯৭২ সাল থেকে,এসএ ১৩৫ বিএস ৪৩ খতিয়ানের মোট ১একর ৭২ শতাংশ জমির মধ্যে আমি এবং আমার ছেলে বাহালুল এর নামে ১একর ৫২ শতাংশ জমি দলীলপত্র অনুযায়ী দখলে রয়েছি এবং আমার বোনের ও এই খতিয়ানে ২০শতাংশ জমি দলীলপত্র অনুযায়ী মালিক থাকিয়া ভোগ দখল করিতেছে।সম্প্রতি আমার বোন কিছু কুচক্রী মহলের প্রোচনায় পড়ে আমার থেকে জমি পাবে বলে দাবি করলে, তাকে কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলি, সে কোন বিচার ফয়সালা মানিনা বলে আমাকে সাফ জানিয়ে দেয় এবং বলে আমি জমি পাবো আমাকে জমি দিতে হবে।এক পর্যায়ে ঘটনার দিন আমার বোন ও ভগ্নপতি মোহাম্মাদ আলী ও তার ছেলে মোঃ নোমান, মোঃ রোহান, মোঃ আকাশসহ আরো ৬ থেকে ৭জন লোক নিয়ে আমার বাগানের প্রায় ৪৫টি সুপারি গাছ কেটে পেলে।গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে আমাকে তার লোক অকাথ্য ভাষায় গালমন্দ করে আমাকে মারার জন্য গায়ের দিকে আসে এক পর্যায়ে আমি সেখানে থেকে কোন মতে বের হয়ে লালমোহন থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি।থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং বলেন ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত এখানে সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকিবে।কিন্তু তারা পুলিশের কথা অমান্য করে এখন থেকে অনেকগুলো গাছ অন্যত্র সড়িয়ে নিয়ে যায় এবং মাটি পেলে ঘর করার পায়তারা করছে।এতে করে আমার প্রায় ১লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।এ ঘটনায় আমি আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি। অপরদিকে অভিযুক্ত নুরজাহান জমি দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার দলীল করা জমিতে ঘর করার জন্য গাছ কেটেছি।আমার কাজের লোকজনকে আমার বড়ভাই ফারুক বাঁধা প্রদান করে। লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন,ওমর ফারুক নামের এক ব্যক্তি সুপারি গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।