অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


লালমোহনে গরমের তীব্রতায় বেড়েছে তালের শাঁসের কদর


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ই মে ২০২৫ দুপুর ০২:৩৮

remove_red_eye

৬৩

আকবর জুয়েল, লালমোহন: তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে ভোলার লালমোহন উপজেলায় বেড়েছে রসালো তালের শাঁসের কদর। রোদের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তালের শাঁসের চাহিদাও। গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি দিচ্ছে তালের শাঁস। কারণ এই তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দূর করে, চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ার পাশাপাশি মুখের রুচি বৃদ্ধি করে। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সি সহ নানা ধরনের পুষ্টি চাহিদাও মিটছে তালের শাঁসে।
গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লালমোহন পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ব্যস্ত সড়কের পাশে তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে। ক্রেতারাও আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছেন তালের শাঁস। আবার অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামীণ অর্থনীতিতেও মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস অবদান রাখছে। বর্তমানে তিন শাঁসের প্রতি পিস তাল ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
লালমোহন পৌরশহরের মহাজন পট্টি এলাকার তালের শাঁস বিক্রেতা মো. জাকির হোসেন জানান, এই গরমে তালের শাঁসের বেশ কদর রয়েছে। গত দুই বছর ধরে এই মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাল কিনে আনি। প্রতি পিস তাল ৫ টাকায় কিনি। বাজারে এনে বিক্রি করা পর্যন্ত একেকটি তালের পেছনে খরচ হয় ১০ টাকার মতো। তবে দুই বা তিন শাঁসের প্রতি পিস তাল ২০ টাকা করে বিক্রি করি। প্রতিদিন বেলা ১১ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বিক্রি করি এই তালের শাঁস। এভাবে আরো এক মাসের মতো এই তালের শাঁস বিক্রি করতে পারবো। আরেক বিক্রেতা শেকান্তর মিয়া বলেন, তালগাছের মালিকদের সাথে গাছ থেকে তাল পেড়ে দেয়া বাবদ অর্ধেক আমাদের ও বাকি অর্ধেক মালিকের জন্য, এমন কন্টাকের মাধ্যমেও আমরা তাল সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকি।
ক্রেতা মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এই তালের শাঁস মৌসুমি একটি ফল। গরমের সময় তালের শাঁস খেলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। যার জন্য নিজে এবং পরিবারের সদস্যরা মিলে খেতে তিন শাঁসের মোট ৬ টি তাল কিনেছি। প্রতি পিস কিনতে হয়েছে ২০ টাকা করে।
মো. শাহিন নামে আরেক ক্রেতা জানান, অনেক গরম। কোনোভাবেই কমছে না এই গরমের তীব্রতা। তাই কিছুটা স্বস্তি পেতে ২০ টাকা দিয়ে তিন শাঁসের একটি তাল কিনেছি। রসালো এই ফল খেলে গরমে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবো।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (ইউনানি) ডা. মো. ইউসুফ হোসেন বলেন, তালের শাঁস গরমে শরীর ও পেট ঠান্ডা রাখে। এ ছাড়া তালের শাঁসে ব্যাপক খাদ্যশক্তি রয়েছে। প্রায় ৮৭ কিলো ক্যালোরি ও ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তালের শাঁসে। একইসঙ্গে এই তালের শাঁস বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে।