অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


একই পরিবারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেদুয়া ইউনিয়নে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভাইদের দাপট


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ই মে ২০২৫ রাত ০১:৩৩

remove_red_eye

১১৫

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : বাবা  রফিকুল ইসলাম ছিলেন ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি,  বড় ভাই মাকসুদুর রহমান ছিলেন আওয়ামী আমলে মেদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের  ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও  ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি , ৫ আগস্টের পর হয়েছেন মেদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (প্যানেল )চেয়ারম্যান।

তার ছোট ভাই মনসুর আলম হলেন মেদুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক । তিনি বিএনপিতে ঢুকে স্বেচ্ছাসেবক দলে এই পদ পাওয়ার পর থেকেই সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এলাকায় । করছেন বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় অপকর্ম ও চাদাবাজি। মানুষের কাছ থেকে বিদেশ পাঠানোর নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এ নিয়ে দৌলতখান থানায় কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হয়েছে। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না তার অপকর্মের নৈরাজ্য। এছাড়াও মেদুয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র  সিনিয়র নেতাদের নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। 

মুনসুরের বড় ভাই, মাকসুদুর রহমান ছিলেন আওয়ামী আমলে দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের  ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও  ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ,  গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের  পর হয়েছেন মেদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (প্যানেল )চেয়ারম্যান। এরপর আর পিছঁনে তাকাতে হইনি তাকে। এবার ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি’র রাজনীতির ব্যানারে যুক্ত হয়ে রাতারাতি পাল্টে যায় তার অবস্থা। দখলে নিয়েছেন মেদুয়া ইউনিয়নের মুন্সির হাট মাছঘাট। ওই ইউনিয়ন পরিষদে তার অনিয়মের শেষ নেই। কেউ মুখ খোললেই তার ভাই মুনসুরকে দিয়ে হুমকি দেওয়াচ্ছেন। বর্তমানে মেদুয়া ইউনিয়ন পরিষদে তার একক আধিপত্য বিস্তার চলছে। এতে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এ বিষয় মনসুরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন রোমান বলেন, তাকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে মেদুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বিতর্কিত নেতা মনসুর আলম। এলাকায় সে একক আধিপত্য কায়েম করার জন্য বিএনপির নেতাদের টার্গেট করে বিভিন্ন স্বড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। আমি বিষয়টি ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমকে জানিয়েছি। এঘটনা নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ  করছে।

মেদুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বাবুল বলেন, এই পরিবার এলাকায়  আওয়ামী লীগ-বিএনপি মিলে একক আধিপত্য বিস্তার করছেন। এমনকি বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম সহ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানানো হয়েছে।