অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


কোরবানিতে ১৬ লাখ টাকার গরু বিক্রির আশা এক খামারির


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ই মে ২০২৫ রাত ০৮:৩৯

remove_red_eye

১৩৯

আকবর জুয়েল, লালমোহন: আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এটি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে এই ঈদে পশু কোরবানি দেবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ভোলার লালমোহন উপজেলার পশু খামারিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে খামারিদের ব্যস্ততা দিন দিন বেড়েই চলছে। দীর্ঘদিন ধরে পরম যত্নে পালন করা গবাদি পশুগুলোকে ক্রেতাদের কাছে আর্কষণীয় করতে খামারিরা পশুর পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত।
এমনই এক খামারি লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিগঞ্জ এলাকার হাসেম মাস্টার সড়কের বাসিন্দা মো. বাহালুল কবীর খান। তিনি এ বছরের ঈদুল আজহার জন্য প্রস্তুত করেছেন দেশী-বিদেশী জাতের মোট ৮টি গরু। যার মধ্যে শাহীওয়াল জাতের ২টি, নেপালি ৫টি এবং দেশী ১টি গরু রয়েছে। এসব গরুকে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণের লক্ষে খড়-ভুসি এবং দানাদার খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি।
খামারি বাহালুল কবীর খান জানান, কয়েকটি গরু নিয়ে ২০১৩ সালে প্রথম গরুর খামার দেই। এর কয়েক বছরের মাথায় কোরবানিতে বিক্রির জন্য বিভিন্ন জাতের গরু প্রস্তুত করতে শুরু করি। এ বছরের কোরবানিতে বিক্রি করতে খামারের ৮টি গরু প্রস্তুত করেছি। এসব গরুর সর্বনিম্ন মূল্য দেড় লাখ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে খামারের গরুগুলোকে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরুকে খাবার হিসেবে খড়-ভুসি এবং দানাদার খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
এই খামারি আরো জানান, এই গরুর খামারটিতে নিয়মিত একজন শ্রমিক কাজ করেন। তার বেতন, গরুর মূল্য, খাবার ও বিদ্যুৎ বিল বাবৎ ৮টি গরু প্রস্তুত করতে খরচ প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো। তবে আশা করছি এ বছর বাজারে গরুর ন্যায্য দাম পাবো। এতে এ বছর ৮টি গরু বর্তমান বাজার মূল্যে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। এতে করে বিক্রি শেষে সব খরচ বাদে অন্তত ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মতো লাভ হবে।
বাহালুল কবীর খানের খামারের শ্রমিক আব্দুল কাদের বলেন, দুই বছর ধরে এই খামারে আমি নিয়মিত কাজ করছি। মাসের পর মাস গরুগুলোকে অত্যন্ত যত্ন নিয়ে পালন করছি। ঘাস-খড়-ভুসি এবং দানাদার খাদ্য খাইয়ে গরুগুলোকে এ বছরের কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই খামারে কাজ করে মোটামুটি ভালো পরিমাণের বেতন পাই। এই বেতন দিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ আল্লাহর রহমতে ভালোভাবেই সংসার চালাতে পারছি।
লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. রইস উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে খামারিদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া কোনো খামারি যেন কৃত্রিমভাবে গবাদি পশুকে মোটাতাজাকরণ করতে না পারেন সে দিকেও আমরা লক্ষ্য রাখছি। একইসঙ্গে কোরবানিকে সামনে রেখে আমরা ৪টি টিম গঠন করেছি। এসব টিম উপজেলার পশুর হাটগুলোতে নিয়মিত তদারকি করছে।