বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০শে মে ২০২৫ রাত ০৮:৪২
১৯৩
চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন বিধ্বস্ত পরিবারগুলো
হাসিব রহমান : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপের প্রভাবে ভোলায় শুক্রবারও বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করেছে। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশে ঘোমট আবহাওয়া বিরাজ করে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেলার উপর দিয়ে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। সেই সাথে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে নদীর পানির চাপ। এতে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। চরাঞ্চল থেকে ভেসে যায় অসংখ্য গবাদি পশু। তবে শুক্রবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাছে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ করা হয়।
স্থানীয় বিভিন্ন সুত্র জানায়, ঝড়ের আঘাতে জেলার দূর্গম চরাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ভোলার চরফ্যাশন, মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলায় সহস্রাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক পরিবার গৃহহারা হয়েছে। তারা এখন চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। অপরদিকে পানির তোড়ে ভেসে গেছে সহস্রাধিক গবাদী পশু। চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় এখনো তিন হাজার পরিবার জোয়ার এলই পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এছাড়াও ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার দুই স্থান দিয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অন্যদিকে ঝড়ো বাতাস ও জোয়ারের চাপে ইলিশা লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটের ৫টি পন্টুন বিধস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনার ঢালচর, চর কুকরি-মুকরি ও মুজিবনগর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঢালচরের অধিকাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চর কুকরি-মুকরির চর পাতিলা এলাকা ও মুজিবনগর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ তিন ইউনিয়নে প্রায় ৭-৮ শতাধিক গরু-ছাগল পানিতে ভেসে গেছে। চরফ্যাসনের ঢাল চর ইউনিয়নের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম, ঢালচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির খন্দকার , ঢালচর ইউনিয়ন জিয়া পরিষদেও সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সোহেল রানা জানান, সেখানে শুক্রবার দুপুরে আবার জোয়ারের পানিতে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। বহু ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো চরম দুর্ভোগে রয়েচেন। ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে অস্বাবিক জোয়ারের পানিতে অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া কাওমি মাদ্রাসার বিধ্বস্ত হয়। মাদ্রাসাটির টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন।
লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ, রমাগঞ্জ, ধলীগৌরনগর, চরভূতা ও পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ২০টি বসতঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ৫০০টি বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে দুইটি গ্রাম ও অতিবৃষ্টিপাত এবং জোয়ারের পানির কারণে চরকচুয়াখালী এবং পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
মনপুরা উপজেলার কলাতলির চরসহ বাঁধের বাইরের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এতে প্রায় ৩ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু গবাদী পশু ভেসে গেছে।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি সাংবাদিকদের জানান, চরফ্যাশনের তিনটি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সাত থেকে আট শতাধিক গবাদিপশু ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ৫০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিক সাংবাদিকদের জানান, মনপুরার কলাতলি ইউনিয়নে বাঁধ না থাকায় পানিতে সেখানকার ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এছাড়াও বাঁধের বাইরে কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে তিন হাজার ৪০০ ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির সঠিক খবর পাওয়া যায়নি।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ দৌলা জানান, মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে ভোলার লালমোহনের সৈয়দাবাদ ও তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় বেড়িবাঁধ ছুটে যায়। এতে লালমোহনে ২০মিটার ও তজুমদ্দিনে ১৫মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লালমোহনের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করা হয়েছে এবং তজুমদ্দিন উপজেলার বাঁধ সংস্কার কাজ চলছে।
এদিকে মেঘনার মধ্যবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে ঘরবাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মহিষ ভেসে যাওযার খবর পাওয়া গেছে। জোয়াজের পানিতে সহস্রাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। ঝড় জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে ভোলাকে রক্ষায় টেকসই বধের দাবি জানান তজুমদ্দিনের ক্ষতিগ্রস্থরা।
জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার বিকালের ঝড়ে ৫ হাজর ২’শ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২০৪টি ঘর। এর মধ্যে চরফ্যাসনের ঢালচর, চর পাতিলা, কুকরী মুকরীতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি। শুক্রবার বিকালে ভাঙা বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। এমময় তিনি আরও জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। দূর্গত এলাকায় শুকনো বিতরণ শুরু হয়েছে।
আশুরা ৬ জুলাই
বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালো ইরান
এইচএসসি ও সমমানের প্রথম দিনে অনুপস্থিত ২০ হাজার, বহিষ্কার ৪৩
ভোলায় কোস্ট গার্ডের উদ্যোগে তারুণ্যের উৎসব
ভোলায় নৌ বাহিনীর মাদক বিরোধী লিফলেট বিতরণ
দৌলতখানে ১০০ বস্তা চাল জব্দ আটক-১
তজুমদ্দিনে শম্ভুপুর দ: বিএনপি'র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
তজুমদ্দিনে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্তিতে ভোলায় ক্রিকেট কার্নিভাল উৎসব
ভোলায় ১১দিন ধরে নিখোঁজ চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি, সন্ধান চায় পরিবার
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত