অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


ভোলায় স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে উধাও স্বর্ণ দোকানী, বিচ্ছেদ আতংকে নারী গ্রাহকরা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১শে মে ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬

remove_red_eye

১০৫

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলায় বিপুল পরিমান স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন স্বর্ন ব্যাবসায়ী সোহাগ। স্বর্ন ও নগদ টাকা খুইয়ে সংসার ভাঙ্গার আতঙ্কে শতাধিক নারী গ্রাহকের কান্না দেখা যায় ঐ স্বর্ণ ব্যাবসায়ীর সুইটি জুয়েলার্সের সম্মুখে। আজ শনিবার ৩১ মে ইলিশা জংশন বাজারে এমন ঘটনা ঘটে। 

সুইটি জুয়েলার্সে স্বর্ন রন্দক রেখে স্বল্প সুদে টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা, রাজাপুর সহ পাশ্ববর্তি এলাকার খেটে খাওয়া পাঁচ শতাধিক  গ্রাহক। তবে এদের মধ্যে বেঁদে সম্প্রদায়ের সংখ্যাও রয়েছে বেশ। দেখা যায় অধিকাংশ গ্রাহকরাই নারী। 

গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া বন্ধকের প্রায় ৫ শ ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়েছেন জংশন বাজারের কথিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সোহাগ বালা। দুই দিন ধরে মিঠুনের স্বর্ণের দোকানে তালা ঝুলতে দেখে প্রতারণার বিষয়টি টের পান ভুক্তভোগীরা। 

 

 

অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই ব্যবসায়ীকে না পেয়ে গ্রাহকরা তার উপজেলার ইলিশা বটতলা সংলগ্ন বাড়িতে গিয়ে দেখেন স্ব পরিবারে উধাও তারা। 

 সোহাগ বালা গ্রামের  সহজ-সরল নারীদের টার্গেট করে স্বর্ণ বন্ধক রেখে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। 

 

 

 ভুক্তভোগীরা জানান, বিগত কযেক বছর ধরে জংশন বাজারের  জুয়েলারি ব্যবসা করে আসছিলেন সোহাগ বালা 

 গ্রামের সহজ সরল মানুষের  আস্থা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিপদগ্রস্ত মানুষকে মাত্র  দুই/ তিন শতাংশ হার সুদে স্বর্ণের গয়না বন্ধক রেখে টাকা দেন সোহাগ। নির্ধারিত সময়ে সুদসহ টাকা পরিশোধ করায় গ্রাহকের টাকা ফেরত দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেন সোহাগ। 

নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনদের বিপদে স্বামীর অজান্তে পরিবারের গচ্ছিত স্বর্ণ অলংকার বন্ধক রেখে টাকা দিয়েছে। কেউ পুত্রবধূর, কেউ বোনের বা ভাবির অলংকার না জানিয়ে বন্ধক রেখেছেন। সেই স্বর্ণসহ অসংখ্য মানুষের প্রায় ১০ কোটি টাকার স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। 

এদিকে সোহাগ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে গেছে নাকি অদৃশ্য কারনে আত্মগোপনে আছেন নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ। তবে ধারনা করা হচ্ছে দোকান এবং বাড়ী-ঘরে তালাবদ্ধ থাকায় পালিয়ে গেছে এমন গুঞ্জন। 

মেঘনায় সবর্ত্র হারানো নারীদের শেষ গচ্ছিত সম্পদ হারিয়ে শত শত নারীদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে ইলিশা।

ভোলা জুয়েলার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ নন্দী জানান. সোহাগের খবরটি আমি শুনেছি। সোহাগ আমাদের সংগঠনের সদস্য নয় তবুও যেহেতু স্বর্ণ ব্যবসায়ী তার এ ঘটনা দুঃখজনক। আমাদের দীর্ঘ বছরের সুনাম কে এ ধরনের কিছু অসাধু চক্রের জন্য বদনাম হচ্ছে। আমি প্রশাসন কে বলবো সোহাগ কে খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং ভুক্তভোগীদের স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য৷ 

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় যেন কোন নিরপরাধ সাধারণ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য প্রশাসন ও বাজার কমিটির প্রতি অনুরোধ জানান৷