অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


লালমোহনে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্বার


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ই জুন ২০২৫ সকাল ০৯:৩৮

remove_red_eye

২৭

লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলায় মো. ফাহিম (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি তাকে মারধর করে ঘরে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
রোববার (৮ জুন) দুপুরে উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিচ্ছিন্ন চরকচুয়াখালী থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মো. ফাহিম ওই এলাকার মো. রুহুল আমিন হেজুর ছেলে। 
ওই যুবকের বাবা মো. রুহুল আমিন হেজু অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতো ফাহিম। ঈদের দিন (শনিবার) সকালে আমি তাদের দাওয়াত দেই। এরপর তারা এসে দুপুরের খাবার খায়। তবে বিকেলের দিকে কাউকে কিছু না বলেই ফাহিমের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যান। এরপর ফাহিম এলাকার অন্যদের সঙ্গে ক্যারাম খেলছিলেন। সন্ধ্যার দিকে তার স্ত্রী তাকে লোক পাঠিয়ে ডাকলে সে তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে। এ সময় তার পাশে থাকা ভায়রা এসব শুনতে পেয়ে বাড়িতে গিয়ে শ্বশুরসহ অন্যান্য আত্মীয়দের জানান।
তিনি আরো জানান, এরপর রাতে আমার ছেলে ফাহিমকে ফোনে কল দিয়ে ডেকে বাড়িতে নেন তার শ্বশুর আব্দুল খালেক। সেখানে নিয়ে তাকে ওই গালিগালাজের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। একপর্যায়ে ফাহিমের শ্বশুর, শালা ও ভায়রাসহ কয়েকজন মিলে বেধড়ক মারধর করেন।
তাই আমাদের ধারণা, তাদের মারধরের একপর্যায়ে ফাহিম মারা গেলে তার ঘরে নিয়ে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ভোরে আমার স্ত্রী রহিমা বিবি তাকে খুঁজতে গেলে ফাহিমের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে। এরপর জানালা দিয়ে উঁকি দিলে ভেতরের গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায় ফাহিমকে ঝুলন্ত দেখতে পায় সে। পরে আমার স্ত্রী ডাকচিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন গিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন।
এ ব্যাপারে ফাহিমের শ্বশুর আব্দুল খালেক বলেন, আমার মেয়ে কয়েকদিন ধরে আমাদের বাড়িতে বেড়াচ্ছে। যার জন্য জামাই ফাহিম আমাদের বাড়িতে আসেন। এরপর তিনি রাতেই আমার মেয়েকে নিয়ে যেতে চাইলে সে রাতের বেলায় যেতে রাজি হয়নি। যার জন্য জামাই রেগে তার ছোট্ট ছেলেকে লাথি মারে। এ জন্য আমার আরেক জামাই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে একটি ধাক্কা দেয়। ঘটনা কেবল এতটুকুই, এর বেশি কিছু না। তাকে কোনো ধরনের মারধর করা হয়নি। হয়তো অভিমানে জামাই ফাহিম আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাসুদ হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। এরপর তারা ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই যুবকের মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।