অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


লালমোহনে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ই জুন ২০২৫ রাত ০৮:০০

remove_red_eye

১২৮

লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের দালাল বাজারের মাস্টার মো. হাবিব উল্যাহ মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মাস্টার মো. হাবিব উল্যাহ মার্কেটের মো. রায়হানের মায়ের দোয়া পার্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, সোহাগ চন্দ্র দাসের ভাই ভাই সেলুন, আরজু মিয়ার ভূষা মালের আড়ৎ এবং মো. জাকিরের চালের আড়ৎ।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. রায়হান জানান, রাতে আমি দোকানের ভেতর ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড গরম লাগায় ঘুম ভেঙে যায়। এরপর উঠে দেখি পাশের সেলুনের দোকানে আগুন জ্বলছে। পরে আমার ডাকচিৎকার শুনে বাজারের অন্যান্য দোকানের লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে তারাও আসেন। সবাই মিলে চেষ্টা করেও ৪টি দোকানের কোনো মালামাল এবং টাকা রক্ষা করা যায়নি, আগুনে পুড়ে গেছে সব। এই অগ্নিকাণ্ডে আমাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।


লালমোহন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে, বুধবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নিতে ছুটে যান লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের শুকনা খাবার ও নগদ ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারি বরাদ্দ সাপেক্ষে আরো সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসও দিয়েছেন ইউএনও মো. শাহ আজিজ।