অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ২৬শে জুন ২০২৫ | ১২ই আষাঢ় ১৪৩২


টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্তিতে ভোলায় ক্রিকেট কার্নিভাল উৎসব


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫শে জুন ২০২৫ রাত ১০:৩১

remove_red_eye

১৭




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক ॥ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দ্বীপ জেলা ভোলায় অনুষ্ঠিত  হয়ে গেল দিনব্যাপী অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ও ক্রিকেট কার্নিভাল। বুধবার (২৫ জুন) সকালে ভোলা গজনবী স্টেডিয়ামের ইনডোরে  বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই কার্নিভালের আয়োজন করে।এতে 
প্রধান অতিথি হিসেবে  দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন ও খেলা শেষে খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার তুলে  দেন  ভোলা জেলা প্রশাসক মো আজাদ জাহান। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার ও ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থা অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব শাফাতুল ইসলাম,ভোলা জেলা বিসিবির জেলা কোচ নজরুল হুদা গোফরান,ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থা অ্যাডহক কমিটির সদস্য বিপুল কুমার পাল,তালহা তালুকদার বাঁধন,মেহেরাব হোসেন অপি,আতিকুর রহমান,সাবেক ক্রিকেটার আশিক চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
দিনব্যাপী এই উৎসবে শিশু ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস আর সাদা পোশাকের ক্রিকেটীয় প্রতিভায় মুখর ছিলো ইনডোর স্টেডিয়ামটি। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত ক্ষুদে ক্রিকেটাররা ৬টি দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেয়। 
ছয়টি দল হচ্ছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমা, কর্ণফুলী ও তেঁতুলিয়া।  প্রতিটি দলে ৬ জন করে খেলোয়াড় ছিল এবং প্রতিটি খেলা অনুষ্ঠিত হয় ৬ ওভারে। চূড়ান্ত খেলায় সুরমা দল প্রতিপক্ষ তেঁতুলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতা শেষে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
এই ধরনের আয়োজনের অংশ নিতে পেরে দারুণ আনন্দিত ক্ষুদে ক্রিকেটাররা । বড় হয়ে বাংলাদেশ টেস্ট দলে খেলার স্বপ্নে বিভোর সাব্বির বলেন, ‘আমি বড় হয়ে জাতীয় দলে খেলতে চাই। আমার আইডল হলেন মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল । আমি তাদের  মতো ক্রিকেটার হতে চাই।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়াতেই এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচির আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।
২০০০ সালের ২৬ জুন আইসিসির দশম সদস্য হিসেবে টেস্ট মর্যাদা লাভ করে বাংলাদেশ। পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও ক্রিকেট কার্নিভালসহ এর আয়োজনে করা হয়। 
এই আয়োজনকে ঘিরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তাদের মতে এমন উৎসব নিয়মিত আয়োজন করা হলে ভবিষ্যতে এখান থেকেই উঠে আসবে জাতীয় দলের সম্ভাবনাময় তারকারা।