অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে কাঁশফুল


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ১০:০০

remove_red_eye

৩৩৪৭



এম শরীফ আহমেদ : শরৎ মানেই স্নিগ্ধতা। প্রকৃতিতে শরৎ মানেই নদীর তীরে তীরে কাশফুলের সাদা হাসি। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে শরতের কাশফুল।চলে যাচ্ছে শরৎকাল। শরৎ মানেই কাশফুল, পরিষ্কার নীল আকাশ আর দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহ। এজন্যই শরতকে বলা হয় ‘ঋতুর রানি’।

শরৎ নিয়ে কবিতা, গান, গল্পের কোন কমতি নেই। সাহিত্যে প্রসঙ্গক্রমে এসেছে শরতের কাশফুল। ভালোবাসা বিনিময়ে কাশফুলের ভূমিকাও কম নয়। গ্রামবাংলার নদীর কূলে, বিলজুড়ে, খালের পাড়ে কাশফুলের ছড়াছড়ি শুধু চোখেই পড়তো না, মনও কেড়ে নিতো পলকে।
ঋতু অনুসারে ভাদ্র-অশ্বিন মাস জুড়ে শরৎকাল। নিকট অতীতেও দেখা গেছে, শরৎকাল এলেই গ্রাম-বাংলার ঝোপ-ঝাড়, রাস্তা-ঘাট ও নদীর দুই ধারসহ আনাচে-কানাচে কাশফুলের মন মাতানো নাচানাচি।কাশবনের ফুলগুলো দোল খেতো বাতাসে। গলাগলি হতো একটার সাথে আর একটার।
নদীর দুই ধারে, জমির আইলে শরৎকালের সেই চিরচেনা দৃশ্য আর দেখা যায় না। কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে কাশবন। এখন গ্রাম-বাংলায় বিচ্ছিন্নভাবে থাকা যে কয়টি কাশবন চোখে পড়ে সেগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে সেখানে এখন তৈরি হয়েছে মৌসুমী ফসলের ক্ষেত।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে প্রহর গোনা শুরু হলো এই শরতে। কৈলাশ ছেড়ে দুর্গতিনাশিনী দুর্গা আসবেন তাদের গৃহে। নদীর পাড়ে কাঁশফুলের জেগে ওঠার আভাস দেখেই বাতাসে রটে গেছে শরৎ এসেছে, পূজা আসছে।
উদ্ভিদবিদরা বলেন,এ কাশবন চাষে তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। আপনা থেকে অথবা বীজ ছিটিয়ে দিলেই কাশবনের সৃষ্টি হয়ে থাকে। কাশবন গরু-মহিষের খাদ্য, গ্রামের বধূরা ঝাঁটা, ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করে থাকেন।আর কৃষকরা ব্যবহার করে ঘরের ছাউনি হিসেবে। কিন্তু আজকাল এ কাশবনের তেমন দেখা  যায় যায় না। আর কোথাও থাকলেও তার রক্ষনাবেক্ষন করা হয় না।