অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


স্কাউটস মেধা বিকাশ ও দেশ গঠনে সহায়ক


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ১০:৩৮

remove_red_eye

২৬৩৪



এম শরীফ আহমেদ : প্রতিদিন কারো না কারো উপকার করবো"  "স্কাউটিং করবো, সুন্দর জীবন গড়বো" এমন নানা শ্লোগান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে  স্কাউটস। এটি বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। স্কাউট আন্দোলনকে ধর্মনিরপেক্ষ  প্রতিষ্ঠানও বলা হয়। যার কাজ হলো আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা দান। স্কাউটিংয়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে অপার আনন্দ, যার স্বাদ নিতে হলে যোগদান করতে হবে এই আন্দোলনে। এর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ নিজেকে নতুন করে খুঁজে পায়। শুধু কাজ ও আনন্দই নয়, স্বীকৃতি অর্জনের এক অপূর্ব সুযোগ। স্বীকৃতি অর্জনের জন্য একজন স্কাউটারকে কতগুলো দক্ষতা অর্জন করতে হয়। যা অন্যকে এই আন্দোলনের  প্রতি উৎসাহিত করে।রর্বাট স্টিফেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েল ১৯০৮ সালে এই আন্দোলন শুরু করেন। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই স্কাউট আন্দোলন রয়েছে।  
এই কার্যক্রম প্রতিটি মানুষকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা ধরনের চেষ্টা চলায়। এই আন্দোলনের মাধ্যমে একজন শিশু তার স্বাভাবিক মেধা বিকাশের সুযোগ পায়। স্কাউট আন্দোলন সমগ্র বিশ্বে ভ্রাতৃত্বের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত। স্কাউট আন্দোলন শিশু-কিশোর ও যুবকদের সত্য ও ন্যায়ের অনুযায়ী উদ্যম, সুশৃঙ্খল ও সাহসী করে তোলে। এই আন্দোলনের শিশু-কিশোর ও যুবকরা শিখে কীভাবে প্রতিকূল পরিবেশে দৃঢ়তা এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে টিকে থাকতে হয়। প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার লড়াই চারিত্রিক দৃঢ়তা তৈরি করে। দেশ, জাতি, বর্ণ ও ভাষায় স্কাউটদের মধ্যে কোনো পার্থক্য বিবেচনা করা হয় না। তাদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, আইন, শপথ, মূলমন্ত্র, আচার-আচরণ সবকিছুর মধ্যে একটা ঐক্য বিরাজ করে। প্রতিটি স্কাউটকে নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হয়। তবে তারা অপরের ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধা রাখে। স্কাউটদের মধ্যে কোনো সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ থাকে না। সেবামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করাই এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে এটি কাজ করে। মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করাই তাদের অন্যতম কাজ। স্কাউট আন্দোলন পরিচালনার জন্য ৭টি আইন এবং একটি নির্দিষ্ট শপথ বাক্য আছে।
বাংলাদেশ স্কাউট আন্দোলন প্রধানত তিনটি শাখায় বিভক্ত। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ থেকে ১০বয়সী শিশুদের কাব স্কাউট, স্কুল ও মাদ্রাসায় ১১ থেকে ১৬বয়সী বালক-বালিকাদের স্কাউট এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭-২৫ বয়সী যুবককে রোভার স্কাউট বলে। তবে রেলওয়ে, নৌ এবং এয়ার অঞ্চলের চাকরিজীবীদের জন্য ৩০ বছর পর্যন্ত বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে মুক্ত দল।
আজকের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের যুগে স্কাউটিং আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম। স্কাউটিংয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশু-কিশোরদের শারীরিক, মানসিক, নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সামাজিক গুণাবলি উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের পরিবার, সমাজ, দেশ তথা বিশ্বের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। সময়ের চাহিদা পূরণে স্কাউট আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।