অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


ভোলায় উচ্চ শিক্ষিত বেকার দুই যুবকের স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩১শে আগস্ট ২০১৯ রাত ১০:১১

remove_red_eye

১৪২৪

 

হাসিব রহমান : সুমন মুহাম্মদ। ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলার মলংচড়ার মহাদেবপুর গ্রামের কৃষক মো: হোসেনের ৭ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ সন্তান। সুমন লেখা পড়ায় ভাল হওয়াতে আগ্রাহ বেশী হওয়ায় অভাব অর অনটনের মধ্যেও তার পিতা সুমনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। ছেলেকে লেখা পড়া শিখাবে। মানুষের মতো মানুষ করবে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবে। তার পর বড় চাকুরি করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখবেন। আর তাই অনেক কষ্ট করে ছেলেকে এমবিএ পাশ পর্যন্ত লেখা পড়া করিয়ে শিক্ষিত করেন। কিন্তু স্বপ্নের দ্বার প্রান্তে এসে যেন স্বপ্ন দূর আশায় পরিনত হয়ে যাচ্ছে। ৫ বছর আগে লেখা পড়া শেষ করলেও দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও সোনার হরিন সরকারি চাকুরি ভাগ্যে জুটছে না। তাই কোন উপায় না দেখে হতাশ হয়ে পড়েন। তার মতো ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাটের ফৈজুদ্দিন গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকার যুবক এম শরীফ আহমেদেরও একই অবস্থা। মনপুরা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১৪ সালে এইচএসসি পাশ করেন। তার পর টিউশনি করে ও কোচিং সেন্টারে কাজ করে ভোলা সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে অর্নাস পড়ালেখা শেষ করেন। ওই দুই যুবকই শিক্ষা জীবনে রোভার স্কাউটস সদস্য ছিলেন। সেই সবাদে তাদের পরিচয়। অবশেষে সময় গুলো ধরে রাখতে নিজেদের ভাগ্য বদলে বেকার দুই যুবক নিজেরাই আবার উদ্দ্যোমী হয়ে নানান সংকট আর হতাশার মাঝেও স্বপ্ন দেখে। সুমন মুহাম্মদ ও এম শরীফ আহমেদ তারা দু’জনেই আতœীয়র কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা ঋন নিয়ে একটি আধুনিক ভ্রাম্যমান ফুডকোর্টে ”পেটুক ফুড ”সপ নির্মান করেন। সেখানে পাস্তা,পায়েস,ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই্,পুডিং,ফুচকা,পিঠা,কাটলেট,ওনথোনসহ রকমারি খাবার শৈল্পিক মাটির পাত্রে পরিবেশন করা হয়। ঘরোয়া পরিবেশে তৈরী করে সল্প মূল্যে এই খাবার বিক্রি করা হয়। এমনকি হোম ডেলিভারির ব্যবস্থাও রয়েছে। উচ্চ শিক্ষত বেকার ২ যুবক নিজেরাই এসব খাবার রাস্তার পাশে দাড়িয়ে স্বাছন্দে বিক্রি করছে। প্রতিদিন এই ভ্রাম্যমান ফুডকোর্টে শহরে সরকারি স্কুল মাঠ পার্ক, কে জাহান মার্কেটের সামনের সড়ক, গালর্স স্কুল মোড এলাকায় চলে তাদের বিক্রি। এদিকে ভোলায় এ ধরনের ফুডকোট চালু হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। শিক্ষিত এই দুই যুবককে যদি সরকারি ভাবে সহায়তার করা হয় তা হলে আগামীতে তারা বড় আকারে করে নিজেদের ভাগ্য পাল্টে দেয়ার স্বপ্ন দেখছে।