অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


বসন্ত এসে গেছে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

remove_red_eye

১০৫৩

এম শরীফ আহমেদ আজ প্রহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন।তাইতো কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতার ভাষায় বলতে হয়-ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত । কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতাটি ঋতুরাজকে  আহ্বান জানায়। ফুল ফোটার পুলকিত এই দিনে বন-বনান্তে নানা রঙের কোলাহলে ভরে ওঠে চারদিক। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতোই বাঙালির মনেও লাগে দোলা।পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বসন্তের দূত কোকিলের মধুর কুহু কুহু ডাক ব্যাকুল করে তোলে আমাদের  অন্তর। 

বসন্ত মানেই পূর্ণতা।বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। মিলনের এ ঋতু বাসন্তী রঙে সাজায় মনকে; মানুষকে করে আনমনা। নাগরিক জীবনে বসন্তের আগমন বার্তা নিয়ে আসে আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি ও একুশের বইমেলা।বসন্ত আমাদের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের রক্ত রঙিন পুষ্পিত রক্তের স্মৃতির ওপর রঙ ছড়ায়। ৮ ফাল্গুন বা একুশের পলাশরাঙা দিনের সঙ্গে তারুণ্যের সাহসী উচ্ছ্বাস আর বাঁধভাঙা আবেগের জোয়ার যেন মিলেমিশে একাকার।
 
 
 

প্রকৃতি আজ দক্ষিণা দুয়ার খুলে দিয়েছে। ফাগুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতেই প্রকৃতির আজ এত বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে  দোলা।


এ সময়েই শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি। গাছে গাছে নতুন পাতা, স্নিগ্ধ  সবুজ কচি পাতার ধীরগতিতে বাতাসের সঙ্গে বয়ে চলা জানান দেয় নতুন কিছুর। পলাশ, শিমুল গাছে লাগে আগুন রঙের খেলা। 

মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। তখন অবশ্য ঋতুর নাম ও উৎসবের ধরনটা এখনকার মতো ছিল না। 

বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম বসন্ত উৎসব' উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে।বসন্তের প্রথম দিনে অসংখ্য তরুণীরা গায়ে হলুদ আর বাসন্তী রঙের শাড়ি জড়িয়ে  আর ছেলেরা পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে  বাসন্তী রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তোলে।  
 
লেখকঃএম শরীফ আহমেদ 
(তরুণ উদ্যোক্তা, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংবাদিক)