অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ সন্ধ্যা ০৭:১২

remove_red_eye

৪৫১

৮৮ রানে জিতে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশ: ৩০৬/৪ (৫০ ওভার)

 

আফগানিস্তান: ২১৮/১০ (৪৫.১ ওভার) 

জয়ের দারুণ ক্যাচে আউট মুজিব 

বদলি ফিল্ডার হিসেবে নামা মাহমুদুল হাসান জয়ের দারুণ ক্যাচে সাজঘরে ফিরলেন মুজিব উর রহমান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে কাউ কর্নারে উড়িয়ে মেরেছিলেন মুজিব, বাউন্ডারি লাইনে থাকা জয় লাফিয়ে উঠে বল ধরেন, শরীরের ভারসাম্য না রাখতে পেরে চলে যান বাউন্ডারির ওপারে। তখন বল ছেড়ে দেন শূন্যে, আবার বাউন্ডারি লাইনে এসে ক্যাচ ধরেন জয়। ২২ বলে ৮ রান করে ফিরলেন জয়। সিরিজ জয়ের জন্য প্রয়োজন আর মাত্র ১ উইকেট।

 

সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশ

মোস্তাফিজের করা ৪১তম ওভারের প্রথম বল। ফ্লিক করে জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলেন রশিদ খান। বল চলে গেলো গ্যালারিতে। পরের বলে দৃষ্টিন্দন কাভার ড্রাইভে চার। তৃতীয় বলে আর পারলেন না। সরাসসরি বোল্ড। ২৬ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে সাজঘরে ফিরলেন রশিদ। বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের জন্য আর মাত্র ২ উইকেট প্রয়োজন। আফগানদের প্রয়োজন ৪৮ বলে ৯৭ রান। 

নবীকে থামালেন মিরাজ, আর প্রয়োজন ৩ উইকেট

 

মেহেদি হাসান মিরাজের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে আফিফের হাতে ধরা পড়লেন মোহাম্মদ নবী। ৪০ বলে ৩২ রান করেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের জন্য আর প্রয়োজন ৩ উইকেট।

রহমতের পর জাদরানকেও ফেরালেন তাসকিন

 

 

তাসকিনের লেন্থ বলে থার্ডম্যান অঞ্চলে খেলতে চেয়েছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। বল ব্যাট স্পর্শ করে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৭ চারে ৬১ বলে ৫৪ রান করে থামেন তিনি। এর আগে রহমতকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন এই ডানহাতি পেসার। দুজনে ৮৯ রানের জুটি গড়ে চোখ রাঙানি দিচ্ছিলেন, দুজনকেই শেষ করেন তাসকিন।

 

 

 

রহমতকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন তাসকিন

রহমত শাহকে বোল্ড করে স্বস্তি ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। তার ভেতরে ঢোকা বল ডিফেন্স করার চেষ্টা করেছিলেন রহমত, কিন্তু বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আলতো স্পর্শে বেল ফেলে দেয়। রহমত বুঝতেই পারেননি। মুশফিক বল নিয়েই উল্লাসে মেতে ওঠেন। নাজিবুল্লাহ জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ে চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছিলেন তিনি। ৭১ বলে ৪ চারে ৫২ রান করেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ৬৯ বলে। তার আউটে ভেঙে যায় ৮৯ রানের জুটি। তবে জাদরান এখনো অবিচল।

নাজিবুল্লাহর ব্যাক টু ব্যাক হাফ সেঞ্চুরি 

রান তোলায় ধারাবাহিক নাজিবুল্লাহ জাদরান। চলতি সিরিজে  বাংলাদেশের বিপক্ষে তুলে নিলেন দ্বিতীয় অর্ধশতক। শুধু তাই নয় গত মাসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলা সবশেষ ম্যাচে করেছেন ৭১ রান। আজ তিনি ৫৭ বলে ৭ চারে ফিফটির দেখা পান।

রহমত-জাদরানে আফগানিস্তানের সেঞ্চুরি

দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন আফগানিস্তান। রহমত শাহ ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের জুটিতে লড়াই করছে সফরকারীরা। দুজনের অর্ধ শতাধিক রানের জুটিতে ইতিমধ্যে দলিয় ১০০ পার করে ফেলেছে দলটি। ১৯.৩ ওভারে তারা তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করে। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সচল রেখেছেন রানের চাকা। ৭১ বলে বলে দুজন যোগ করেন ৭০ রান। 

শাহ-জাদরানে আফগানিস্তানের প্রতিরোধ

৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েছেন রহমত শাহ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। জাদরান ২৩ রানে মিরাজের বলে রিভিউ নিয়ে জীবন পান। বল পায়ে লাগলে জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলে দেখা যায় বল ব্যাট স্পর্শ করে। বেঁচে যান জাদরান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইতোমধ্যে তারা দুজন ৬১ বলে ৬৫ রান সংগ্রহ করেছেন। শাহ ৪১ ও জাদরান ৩৮ রানে ব্যাট করছেন। 

দ্বিতীয় ওভারেই সাকিব ফেরালেন আজমতুল্লাহকে

সাকিবের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল।  এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। তিনি চেয়েছিলেন মিড উইকেটে খেলতে। কিন্তু বল চলে যায় মুশফিকের হাতে, পৌঁছানোর আগেই ফেলে দেন বেইল। আজমতুল্লাহ ফেরেন ১৬ বলে ৯ রান করে। পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান তোলে আফগানিস্তান। 

 

আফগান অধিনায়ককে ফেরালেন শরিফুল

আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহীদিকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ১ চারে ৩ বলে ৫ রান করেন তিনি। শরিফুলের শর্ট বলে কাট করতে চেয়েছিলেন পয়েন্টে, কিন্তু বল ব্যাটে লেগে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে।

আফিফের থ্রোতে শুরুতেই রান আউট রিয়াজ

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পেলো বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের বলে মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে দৌড় দেন রিয়াজ হাসান। মিড উইকেটে থাকা ফিল্ডার আফিফ দৌড়ে এসে থ্রো করেন, নন স্ট্রাইক প্রান্তে রিয়াজ পৌঁছার আগেই ভেঙে যায় উইকেট। ২ বলে ১ রান করে ফেরেন রিয়াজ।

 

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড রান

আফগানিস্তানের বিপক্ষে এর আগে কখনো ২৮০ রানের ঘর পার হতে পারেনি বাংলাদেশ। ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে এবার সেই আক্ষেপ মুছে গেছে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ৩০৬ রান করে থেমেছে বাংলাদেশ। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৮ উইকেটে ২৭৯।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ৩০৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। সর্বোচ্চ ১২৬ বলে ১৩৬ রান করেন লিটন দাস। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পাননি মুশফিকুর রহিম। তিনি থামেন ৮৬ রানে।  এ ছাড়া সাকিব আল হাসান করেন ২০ রান। তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ফরিদ আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি ও রশিদ খান। 

 

রেকর্ড জুটি গড়ে থামলেন মুশফিক-লিটন 

দারুণ এক ইনিংস খেলে বিদায় নিলেন লিটন দাস। তার ব্যাট থেকে আসে ১২৬ বলে ১৩৬ রান। ইনিংসে চারের মার ছিল ১৬টি আর ছয়ের মার ২টি।ফরিদ রহমানের স্লো বলে স্ট্রেট ডিপ স্কয়ার লেগে মুজিব উর রহমানের ক্যাচ হন তিনি। তাদের জুটি ছিল ২০২ রানের। যেটি তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। পরের বলেই বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। ফজলহক ফারুকির ক্যাচ হন তিনি ৮৬ রান করে। লিটনের মতো সেঞ্চুরির পথে ছিলেন মুশফিকও। কিন্তু তাকে থামতে হয় ১৪ রান দূরে। ফরিদকে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন থার্ডম্যান অঞ্চলে ফারুকির হাতে। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৯টি। ক্রিজে নতুন দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-আফিফ হোসেন।

তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি মুশফিক-লিটনের

আগের ম্যাচে সপ্তম উইকেটে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৭৪ রানের জুটি গড়েছিলেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এবার তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি হলো। মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস আগের ১৭৮ রানের জুটির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। তাদের জুটি দুইশ ছাড়ায়। ৮৩ রানে ২ উইকেট পড়ার পর তারা দুজন একসঙ্গে ক্রিজে জুটি গড়েন। থামেন ১৮৬ বলে ২০২ রান যোগ করে। এতদিন তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি ছিল ১৭৮ রান। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিম। 

 

লিটনের সেঞ্চুরি, বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ

ওপেনিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন লিটন দাস। রশিদ খানকে চার মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির দেখা পান এই ডানহাতি ওপেনার। ১০৭ বলে ১৪ চারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন লিটন। এর আগে ৬৫ বলে দেখা পেয়েছিলেন অর্ধশতকের। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। 

মুশফিক-লিটন জুটির সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের দুইশ

১০৮ বলে শত রানের জুটি গড়েছেন মুশফিক-লিটন। তৃতীয় উইকেটে তার এই জুটিটি গড়েন। এতে লিটনের অবদান ৪৬ আর মুশফিকের ৫১। অতিরিক্ত থেকে আসে ৫ রান। দুজনের জুটিতে ভর করে বাংলাদেশ ২০০ রানের ঘর পেরিয়ে যায়। ৩৫.২ ওভারে বাংলাদেশ ২০০ রান পূর্ণ করে।অতিরিক্ত রান ৩৫। লিটন সেঞ্চুরির পথে আর মুশফিক হাফ সেঞ্চুরি করে ক্রিজে আছেন। 

মুশফিক-লিটন জুটির সেঞ্চুরি 

১০৮ বলে শত রানের জুটি গড়েছেন মুশফিক-লিটন। তৃতীয় উইকেটে তার এই জুটিটি গড়েন। এতে লিটনের অবদান ৪৬ আর মুশফিকের ৫১। অতিরিক্ত থেকে আসে ৫ রান। দুজনেই এখন হাফ সেঞ্চুরি করে ক্রিজে আছেন।

 

মুশফিকের ৪১তম হাফ সেঞ্চুরি

এর আগে মোহাম্মদ নবীকে চার মেরে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন লিটন দাস। এবার রশিদকে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। ৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুইপ করে মিড উইকেটে চার হাঁকিয়ে ৫৬ বলে ফিফটি করেন মুশফিক। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৬টি। এটি তার ক্যারিয়ারের ৪১তম অর্ধশতক।

মুশফিক-লিটন জুটির হাফ সেঞ্চুরি 

লিটন-মুশফিক জুটিতে পেরিয়ে গেছে অর্ধশত রান। লিটনের ফিফটির পরেই এই জুটি হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। ৬১ বলে ৫০ রান যোগ করেন দুজনে। এর আগে সাকিবের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন। এই জুটি বড় রানের আভাস দিচ্ছে।

নবীকে চার মেরে লিটনের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি

২৫তম ওভারের তৃতীয় বল। লুজ বল ছাড়লেন মোহাম্মদ নবী। স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা লিটন দাস কী ছেড়ে দেবেন? না, ছাড়েননি। পুল করে স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে লিটন পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারির বাইরে। ৬৫ বলে পেয়ে গেলেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরির দেখা। তার ফিফটির ইনিংসে চারের মার ছিল ৮টি। 

 

লিটনের দারুণ চারে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি  

রশিদ খানের করা বিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে চার হাঁকান মুশফিকুর রহিম। পরের বলে লং অনে ঠেলে দিয়ে লিটন দাসকে স্ট্রাইক দেন। লিটন স্ট্রাইক পেয়েই মিডউইকেটে দৃষ্টিনন্দন শটে পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারির বাইরে। বাংলাদেশ পৌঁছে যায় তিন অঙ্কের ঘরে। ১৯.৪ ওভারে পূর্ণ করে দলীয় শতরান। লিটন ৩৫ ও মুশফিক ১০ রানে অপরাজিত আছেন। সাকিবের আউটের পর জুটি বাঁধেন দুজন।

রশিদের কাছে হার মানলেন সাকিব

তামিম ইকবালকে হারানোর পর জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। দুজনের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার আভাস দেয় বাংলাদেশ। স্ট্রাইক রোটেট করে খেলায় ছিল দুজনের নজর। কিন্তু রশিদ খানের আঘাতে ভেঙে যায় ৫৩ বলে ৪৫ রানের জুটি। তার লেন্থ বল সাকিবের ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। ২ চারে ৩৬ বলে ২০ রান করেন সাকিব। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

 

রিভিউ নিয়েও বাঁচলেন না তামিম, আউট ১২ রানে 

ইনিংসের শুরু থেকে আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল তামিম ইকবালকে। দ্বিতীয় ওভারেই দুই চারে দেখিয়েছিলেন সম্ভাবনা। কিন্তু বেশিদূর লম্বা হয়নি অধিনায়কের ইনিংস। ফারুকির করা সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বল লাগে তামিমের পায়ে, জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন তামিম, কিন্তু তার পক্ষে যায়নি। ২৪ বলে ১২ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এর মধ্য দিয়ে তামিম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার এলবিডব্লিউ হওয়ার রেকর্ড গড়েন! তিনি এই নিয়ে ২০ বার আউট হয়েছেন। তার পরে আছেন মুশফিকুর রহিম, তিনি আউট হয়েছেন ১৭বার। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।

 

বেঁচে গেলেন লিটন, রিভিউ হারাল আফগানিস্তান

ফজল হক ফারুকির করা তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বল লাগে লিটন দাসের পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় আফগানিস্তান। কোনো লাভ হয়নি, বল লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে পিচিং হওয়াতে রিভিউ হারায় আফগানিস্তান। বেঁচে যান লিটন। দুটি রিভিউর মধ্যে শুরুতেই ১টি হারাল আফগানরা।  শুরু থেকে তামিম ইকবালকে দারুণ আত্মবিশ্বাসী দেখালেও লিটন দাস যেন নড়বড়ে। তৃতীয় ওভার শেষেও তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। 

 

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ 

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ:  আগের একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। 

তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগান দলে তিন পরিবর্তন

আফগানিস্তান দল তিনটি বদল এনেছে। ইব্রাহিম জাদরান, ইয়ামিন আহমদজাই ও গুলবাদিন নাইবের বদলে এসেছেন রিয়াজ হাসান, ফরিদ আহমেদ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই।

আফগানিস্তান একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শহীদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফরিদ আহমেদ ও ফজলহক ফারুকি।

 

প্রথম ম্যাচ জয় মানেই সিরিজ নিশ্চিত! 

বাংলাদেশের জন্য প্রথম ম্যাচ জেতা মানে সিরিজ জয়ের পথে বহুদূর এগিয়ে যাওয়া। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ জিতে যায় সিরিজ। পরিসংখ্যান তো বাংলাদেশের পক্ষেই কথা বলছে। দ্বিপাক্ষিক হিসেবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলছে ৭৭তম ওয়ানডে সিরিজ। এর মধ্যে কেবল ২৬টিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জেতে তারা। জয়ের হাসিতে শুরু করা সেই সিরিজগুলোর মধ্যে ২৩টি সিরিজ শেষ হয়েছিল জেতার আনন্দ নিয়ে। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর সিরিজ হারের রেকর্ড একদমই কম বাংলাদেশের, মাত্র ৩টি। আর প্রথম ম্যাচ হেরে সিরিজ জিতেছে পাঁচটিতে। এমন সাফল্যগাথায় বাংলাদেশ ২৯তম সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা করতেই পারে।