অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


সীতাকুণ্ডের লোহা ব্যবসায়ীদের ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে দৌলতখানের এক প্রতারক


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১শে মার্চ ২০২২ রাত ১১:২৮

remove_red_eye

৩৮৪

পুরাতন জাহাজের স্ক্র্যাপ লোহার প্লেট বিক্রির কথা বলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ কোটি টাকার অধিক হাতিয়ে পালিয়েছে রুহুল আমিন নামে এক প্রতারক। ভুক্তভোগী একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিকার চেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগ করেছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। রুহুল আমিন ভোলা জেলার দৌলতখান থানার মেদুয়া ইউনিয়নের বাশ বাড়িয়া গ্রামের মোঃ আলী মুন্সির ছেলে। তিনি সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী মাদামবিবিরহাট এলাকায় বসবাস করতেন।


স্থানীয় স্ক্র্যাপ লোহা ব্যবসায়ী ইউনুস, সেলিম, মান্নান ও আল আমিনসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, রুহুল আমিন শিমু এন্টারপ্রাইজ নামে সীতাকুণ্ডের মাদামবিরিহাট এলাকার একটি পুরাতন জাহাজের স্ক্র্যাপ লোহার প্লেট ক্রয় বিক্রির প্রতিষ্ঠান খুলে পাঁচ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
পুরাতন জাহাজের স্ক্র্যাপ লোহার প্লেট ব্যবাসায়ী ফারুক মোনাদীন জানান, স্ক্র্যাপ লোহার ব্যবসার জন্য রুহুল আমিনকে ৬৩ লাখ টাকা দিয়েছি। আমানত হিসাবে ব্যাংকের চেক দেন তিনি। কয়েকদিন পূর্বে আমারসহ একাধিক ব্যবসায়ীর টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে। এখন আমিসহ অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছি। । ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের  ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন জানান, ১০-১২ জন স্ক্র্যাপ  লোহার ব্যবসায়ী থেকে প্রায়ী ৫ কোটি টাকার অধিক হাতিয়ে পালিয়েছে ওই প্রতারক। ভুক্তভোগী অনেকে থানায়ও আদালতে পথক মামলাও করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ইয়ার্ডের মালিকরাও তার কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা পাবেন বলে জানান।


তিনি আরও জানান, সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলে অবস্থিত শীপব্রেকিং ইয়ার্ড থেকে পুরাতন স্ক্র্যাপ লোহার প্লেট ক্রয় করে তা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার রিরোলিং মিলগুলোতে বিক্রি করতো। সেই সুবাদে কয়েক মাস ওই ব্যবসার করার পর স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে স্ক্র্যাপ লোহার  প্লেট বিক্রির কথা বলে টাকাগুলাে হাতিয়ে নিয়েছে। এখন তার ওই প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলছে। তার পরিবারকেও সরিয়ে নিয়ে গেছে।


সীতাকুণ্ড মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের কাছ থেকে ব্যবসার নাম করে রুহুল আমিন নামে । এক প্রতারক কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে কয়েকটি অভিযোগ ও জিডি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই সকল ব্যবসায়ীদের প্রতারকের দেওয়া চেক ডিজঅনার করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান।