অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে নেমেছেন জেলেরা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩শে জুলাই ২০১৯ রাত ১১:৪৮

remove_red_eye

৫৯৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে টানা ৬৫ দিন সকল ধরণের মাছ শিকারের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গভার মধ্যরাত থেকে জাল ও ফিশিং বোর্ড নিয়ে মাছ শিকারে নেমেছেন ভোলার জেলেরা। দীর্ঘ দিন পর মেঘনা ও তেতুলিয়া পাড়ের মাছঘাটগুলোতে এক ধরণের সাজসাজ রব পড়েছে। জেলেরা স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছেন আবার স্থানীয় মুদি দোকান থেকে ১৫-২০ দিনের চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন ঘাটের মাছ ব্যবসায়ীরা। আবার কোন কোন ঘাটে মঙ্গলবার বিকেলে থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারী আড়ৎদাররা মাছ কেনার জন্য ভিড় জমিয়েছেন।

ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা মাছঘাটের জেলে সেলিম মাঝি জানান, তার ফিশিং বোর্ডে ১০ জন জেলে সাগরে শিকার করতে যান। গত ৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাড়িতে বেকার ছিলেন। ধার-দেনা করে সংসার খরচ চালিছেন। এখন সাগরে মাছ শিকার করে ধার-দেনা পরিশোধ করবেন বলে আশা করছেন।

দৌলতখান মাছঘাটের জেলে মোঃ মোস্তফা মিয়া জানান, এবারই প্রথমবারের মত সরকার সাগরে মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা তা মেনে সাগরে মাছ শিকার করতে যায়নি। এখন অভিযান শেষ সাগরে মাছ শিকার করতে যাবার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, সাগরে যেসব জেলেরা মাছ শিকার করতে যায় তাদের সকলের  তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রত্যেক জেলে স্ব-স্ব থানায় পুলিশের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে সাগরে যেতে হবে। পাশাপাশি যাগরগামী সকল মাছ ধরা নৌযানের নিবন্ধন করা হবে। এ ছাড়া জেলেদের নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্যাকেট ও বয়া নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই রাত ১২ টা পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।