অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


ভোলায় মাছের চাহিদার বেশী মাছ উৎপাদন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ই জুলাই ২০১৯ রাত ১১:১৮

remove_red_eye

৫৬০

 

হাসিব রহমান : নদীতে ও সাগরে জেলেদের নিরাপত্তার জন্য তাদের ট্রলারে ডিভাইস লাগানোর উদ্দ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। একই সাথে ওই ডিভাইসের মাধমে কন্ট্রোল রুম থেকে জেলেদের সার্বক্ষনিক অবস্থান নিশ্চিত করা হবে। প্রায় ১৮ শত কোটি টাকা ব্যায়ে ৪ বছর মেয়াদি সাসটেইনেবল কোষ্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের মাধ্যমে অটোমেটিক আইডেনটিফিকেশস সিষ্টেম নামে ডিভাইজ জেলেদের ট্রলারে স্থানের কাজ চলছে । ‘মাছ চাষে গড়বে দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১৭ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৭ দিন ব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনের লক্ষে ভোলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ভোলা অফিসার্স ক্লাবে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এ সম্মেলন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস.এম আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহামুদুল রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামালা হোসেন,সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান,তথ্য অফিসার আহসান কবির।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন, মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে বর্নাঢ্য র‌্যালী, মাছের পোনা অবমুক্ত, আলোচনা সভা, মাইকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা,প্রমাণ্য চিত্র, তিন দিনব্যাপী মৎস্য মেলা, ফরমালিন বিরোধী অভিযানসহ পুরস্কার বিতরণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, ভোলা জেলা মাছে সমৃদ্ধশালী হলেও মাছ চাষে এখন সমৃদ্ধিশালী হয়নি। আমরা জেলা সকল মাছ চাষীদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ ও মাছ চাষে সহযোগীতা করে আসছি। আশা করি খুব দ্রæত সময় ভোলা জেলা মাছ চাষেও সমৃদ্ধিশালী জেলা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য কর্মকর্তা জানান, ভোলায় মাছের চাহিদার চাইতে বেশী মাছ উৎপাদন হয়। মাছের চাহিদা ৪০ হাজার ৮৬৭ মে.টন থাকলেও মাছের মোট উৎপাদন হচ্ছে ২০ লক্ষ ৮৬৪ মে.টন। উদ্বৃত্ত থাকে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৯৭ মে.টন। তবে ভোলার নদীতে অবৈধ জালের মাধ্যমে মাছের বিভিন্ন প্রজাতি ধ্বংস করা হচ্ছে । বাজেট সল্পতার মধ্যেও অবৈধ জাল উদ্ধার করে বিনষ্ট করার চেষ্টা চলছে বলেও তারা জানান।