অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


চরফ্যাশনে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দালাল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ঠা জুলাই ২০১৯ রাত ০৯:৪৩

remove_red_eye

৫৭০

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন থেকে: চরফ্যাশনের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার এই কর্মযজ্ঞকে পুঁজি করে গ্রামে গ্রামে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালালচক্র। পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবং অফিসের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে এ দালালচক্র বিদ্যুতের খুঁটি, লাইন স্থাপন এবং মিটার সংযোগ নিশ্চিত করার অজুহাতে আগ্রহী গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করছে।
চরফ্যাশন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৭৯ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স¤প্রসারণের কাজ চলছে। বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৪২৬ কিলোমিটার লাইন স্থাপন করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৯৫৩ কিলোমিটার লাইন স্থাপনের কাজ চলমান।
পল্লী বিদ্যুৎ আফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নতুন লাইনের ক্ষেত্রে মিটার বাবদ জামানত ফি ৪শ’ টাকা, সদস্য ফি ৫০ টাকা, আবেদন জমা বাবদ ১শ’ টাকা, সর্বমোট ৭৫০ টাকা। এ ছাড়াও পুরনো লাইনের ক্ষেত্রে অনলাইনের আবেদন ফি ১শ’ টাকা বাড়তিসহ মোট ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নতুন বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখনও খুঁটি স্থাপন করা হয়নি। এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালালচক্র। এই গ্রামের সম্ভাব্য গ্রাহক মো. সবুজ হোসেন অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ আসছে এমন আওয়াজ তুলে ইউসুফ হাওলাদার নামের এক দালাল ২০১৭ সালের জুন মাসে গ্রামের ৭০টি পরিবারের কাছ থেকে সাড়ে ৫ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয়। চলতি বছরে ছোটন নামের আরেক দালাল বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের জন্য গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে আদায় শুরু করে। এখন ইউসুফ ও ছোটন এক হয়ে সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে নানা অজুহাতে আরও ২ হাজার টাকা করে দাবি করছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী এই দালালদের বিরুদ্ধে গ্রামজুড়ে ঝাড়ূমিছিলও করেছেন।
এদিকে চরফ্যাশন সদর (গরুর হাট) সংলগ্ন অফিসের বিদ্যুৎ বিভাগের জনৈক ষ্টাফ জসিম উদ্দিন পৌর সভায় বাসা বাড়ীতে নতুন লাইন সংযোগের নামে ৭/৮হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চরফ্যাশন পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এ বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। মাঝে মধ্যে মাইকিং করা হচ্ছে। বিদ্যুতের নাম করে কেউ টাকা চাইলে তাকে ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার আহŸান জানানো হয়েছে।