অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


ভোলায় ছাত্রলীগের মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বিক্ষোভ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫শে জুন ২০১৯ রাত ০৯:৩৯

remove_red_eye

৫৪০

 

 

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা জেলা ছাত্রলীগ সভাপপতি ও সম্পাদককে ধর্ষক ও নারী নির্যাতনকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটি বাতিলের করে নতুন কমিটির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সাংবাদিক সম্মেলনে তৃনমূলের নেতাকর্মীর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল না হলে তাদের আন্দোলন অব্যহত ভাবে চালিয়ে যাবে বলে হুশিয়ার করেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে টায় ভোলার তৃণমূল ছাত্রলীগের আয়োজনে ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সস্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বর্তমান মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটির সহ সভাপতি তৌয়বুর রহমান স্বীকার করে বলেন, ৪ বছর আগে ২০১৫ সালের ৯ই মে গঠিত এক বছর মেয়াদী কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে কোন সম্মেলন হচ্ছে না। ছাত্রলীগের অবৈধ কমিটি ইতিপূর্বে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের কোন কার্যক্রম বা কর্মসূচী পালন করতো না। ২০১৫ সালে গঠিত ও কেন্দ্র থেকে ঘোষিত ১০ সদস্যের সকলেই বিবাহিত। এদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম চৌধুরী পাপন ব্যবসায়ী ছোনকে অস্ত্র ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করার মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে গেছে। যার মামলা নং ৫০২/১৯। এ ছাড়া জাতীয় শোকের মাস ১৫ আগষ্ট বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ চেয়ারম্যানের মেয়েকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যায়। মামলা নং জিআর ৫৬৮/১৮। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে দুটি নারী নির্যাতন, ২টি চাঁদাবাজি মামলাসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রিয়াজ মাহামুদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের শেষ নেই। মাদকাসক্ত রিয়াজ মাহামুদ ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের এক গৃহবধূকে ধর্ষন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলা নং জিআর ৪৪৪/১৭। এছাড়া হত্যা মামলা পর্যন্ত রয়েছে যার নং ২৬/১১ তারিখ ১৯.১.২০১১। তার বিরুদ্ধেও নারী নির্যাতনসহ মোট ৪টি পৃথক মামলা রয়েছে। অন্যদিকেজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রুবেল স্ত্রী খুনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে আজীবনের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ তাকে বহিস্কার করেন। অভিযুক্ত এসব নেতৃবৃন্দের ছাত্রলীগের মত ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন এমন দাবি করে ওই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটির জন্য সম্মেলন আহŸানের দাবি জানান আন্দোলনকারী ছাত্র নেতারা। নেতাকর্মীরা আরো বলেন, সঠিক সময় কমিটি গঠন না হওয়ায় তাদের বয়স চলে যাচ্ছে। এতে করে তাদের কমিটি আসার বয়স চলে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তৃনমূলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের র্শীষ নেতৃবৃন্দকে কমিটি ভেঙ্গে নতুন করে কাউন্সিল দেয়ার কথা জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন। এ সময়উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদুল আলম, সাবেক ছাত্রলীগ সম্পাদক আক্তার হোসেন, জাকির হোসেন অমি,হাসিব মাহামুদ, নেয়াজ শরীফ কুতুব, আল ফকিদ, মার্সেল প্রমুখ। পরে ছাত্রলীগ নেতারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।