অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


মনপুরায় ২০কেজি হরিণের মাংসসহ ট্রলার আটক


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ঠা জুন ২০১৯ রাত ০২:৩১

remove_red_eye

৬৫৯

মনপুরা প্রতিনিধি \ মনপুরার বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর থেকে ট্রলারযোগে হরিণের মাংস পাচারের সময় তজুমুদ্দিনের কোস্টগার্ডের সদস্যরা আটক করে। এই সময় পাচারের কাজে ব্যবহৃত ট্রলারটি আটক করে কোস্টগার্ড। তবে হরিণের মাংস পাচারকারী কোন সদস্যকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে,সোমবার দুপুর ২ টায় তজুমুদ্দিনের ভাসনভাঙ্গার চর সংলগ্ন ট্রলারে অভিযান চালিয়ে এই হরিণের মাংস উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। তবে কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ ২০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করলেও দুই পাচারকারী আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে। তবে অভিযোগ রয়েছে ২জনকে আটক করা হয়।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্রটি জানান, এর আগে বোরহানউদ্দিনে ২শত কেজি হরিণের মাংস আটক হয়েছিল, সেই হরিণের মাংসও কলাতলীর চর থেকে নেওয়া হয়েছিল। বিশেষ দিন ছাড়াও প্রতিনিয়ত ওই চক্রটি মনপুরার কলাতলীর চর থেকে হরিণের মাংস পাচার করে আসছে।

তজুমুদ্দিন কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ভাসানভাঙ্গার চর সংলগ্ন মেঘনায় অভিযানের সময় পাচারকারী সদস্যরা হরিণের মাংস সহ ট্রলারটি রেখে বনের ভিতরে পালিয়ে যায়। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। তজুমুদ্দিনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার না থাকায় লালমোহনের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস দেওয়া হয়েছে।

লালমোহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান, কোস্টগার্ডের উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস লালমোহের বিভিন্ন এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে।