অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


মনপুরা ও তজুমদ্দিনে বাঁধ ভেঙ্গে ৩ গ্রাম প্লাবিত


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৫ই মে ২০১৯ রাত ০১:১৩

remove_red_eye

৮৩১

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক ॥ ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে মেঘনা নদীর পানি লোকালয় প্রবেশ করেছে।  এতে করে ৩ গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২ সহ¯্রাধিক মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন চর নিজামে শতাধিক গবাধি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ভোলায় আশ্রয় কেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খিচুড়ি বিতরন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর ও চরনিজামের নি¤œাঞ্চল এলাকায় ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চর নিজামে শতাধিক গবাধি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরনবী সাংবাদিকদের জানান। অন্যদিকে মনপুরার হাজিরহাট ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ফকিরের দোন এলাকায় নতুন বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর ও মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়াও হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ওই সমস্ত এলাকায় ২ সহ¯্রাধিক বাসিন্দা পানিবন্ধী হয়ে পড়ে। এদিকে চরনিজামের কৃষক হারুন, সুমন ও বাবুলের শতাধিক ভেড়া ও ছাগলের মৃত্যু হয়। এছাড়াও উপজেলার মাষ্টার হাটের পশ্চিম পাশের বেড়ীবাঁধ, দক্ষিণ সাকুচিয়ার সূর্যমূখী বেড়ীবাঁধ, হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনার চর বেড়ীবাঁধ হুমকীর মুখে রয়েছে। যে কোন সময় বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বির্স্তীন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের  গুরিন্দা বাজার সংলগ্ন মনমোহন ম্যানেজার  এর বাড়ির সামনের ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে।  ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আহমেদ জানান, মনপুরাতে তাদের প্রায় ৫০ মিটার ভেঙ্গে গেছে। তারা দ্রæত ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ সংস্কার করবে। এদিকে বিকালে ভোলা সদরের গুলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আসা প্রায় আড়াই শত  নারী শিশু ও পুরুষের মধ্যে রান্না করা খিচুড়ি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বিতরন করেন।