অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


তজুমদ্দিনে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১লা এপ্রিল ২০১৯ রাত ০১:১৮

remove_red_eye

৮২১

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক :  ভোলার ৩ উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান  ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং দৌলখান উপজেলা শুধু পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলা উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারায় খুবই স্বস্তি প্রকাশ করেছে।

রবিবার আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তজুমদ্দিন উপজেলায় শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কেন্দ্রে নারী- পুরুষের উপস্থিতি বাড়তে দেখা যায়। তজুমদ্দিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান ও স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলালের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হয় । এখানে কোন ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া না গেলেও  ওই উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কহিনুর বেগম শিলা অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাত ১১ টার দিকে তজুমদ্দিন বাজারে থানার কাছে তার উপর প্রতিপক্ষ প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজুর কর্মীরা হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে তার মাইক্রবাসটি ভাংচুর করেছে। এসময় তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন,মহিলা ভাইস চেয়রম্যান প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজু। অন্যদিকে সম্ভুপুর ইউনিয়নের শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোবকা পড়ে ছদ্মবেশে ভোট দিতে আটক হয়েছে মুন্না নামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। একই অভিযোগে মো.  ভুট্টো নামের আরেকজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।

 



 

 

সরেজমিনে দেখা যায়, তজুমদ্দিন উপজেলায় আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ফজলুল হক দেওয়ান ( নৌকা)  ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোশারেফ হোসেন দুলাল (আনারস) প্রতিদ্ব›ি›দ্বতা করেছেন। এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্ব›ি›দ্বতা করছেন । পঞ্চপল্লী কেন্দ্রে নারী ভোটাররা অভিযোগ করেন,তাদেরকে পথে আসতে ফজলুল হক দেওয়ানের লোকজন বাধা গ্রস্ত করে। অন্যদিকে নির্বাচন চলাকালেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ফজলুল হক দেওয়ান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তারকর্মী ও সমর্থকদের হয়রানী করায় তিনি অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেন,রেডক্রিসেন্ট ও দাসেরহাট ভবানিয়া ভোটকেন্দ্রে তার এজেন্টদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মারধর করে বের করে দিয়েছে। এ ছাড়া সম্ভুপুর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের বাড়িতে আগের দিন রাতে ৩ বার তল্লাসি চালিয়েছে। অপর দিকে সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ের বিষয়ে আশাবাদ জানান  বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল।

অন্যদিকে তজুমদ্দিন উপজেলার সহকারী রিটানিং অফিসার সৈয়দ শফিকুল হক জানান, তজুমদ্দিন উপজেলায় খুবই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।

অপর দিকে লালমোহন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী  অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান প্রতিদ্ব›ি›দ্বতা করেন। তবে মাঠে একচ্ছত্র আধিপত্ত ছিল গিয়াস উদ্দিন আহমেদের। ভোটার উপস্থিতিও ছিল খুবই কম। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্ব›ি›দ্বতা করছেন।

এছাড়া দৌলতখান উপজেলায়  ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোশারেফ হোসেন কান্টু, মো. ছিদ্দিক মিয়া ও আঃ অদুদ প্রতিদ্ব›ি›দ্বতা করছেন। শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হওয়ায় প্রায় ভোটার শূণ্য ছিল কেন্দ্রগুলো। প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি পশ্চিম চরখলিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৮৫ ভোটারের মধ্যে দুপুর ১ টা পর্যন্ত মাত্র ৬৫টি ভোট কাস্টিং হয়েছে। দৌলতখান উত্তর পশ্চিম চর খলিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ হাজার ৫৫০ ভোটারের মধ্যে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ১২০টি ভোট কাস্ট হয়েছে। অপর দিকে তজুমদ্দিনে নির্বাচন পরবর্তী সংর্ঘষ ও হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।