অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


চরফ্যাশনে স্বাস্থ্য বিভাগের অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত টিম গঠন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১শে মার্চ ২০১৯ সকাল ০৭:৩৫

remove_red_eye

৭৯২

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক \ চরফ্যাশন উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাসপাতাল স্টাফদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা তোলাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে গতকাল বুধবার বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের ডিডির নির্দেশে সহকারী পরিচালককে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্র নাথ মজুমদার তদন্তটিম গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত বছর ৮ মে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সফরকালিন সময়ে নানা অনুষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহের জন্য হাসপাতালের ডাক্তার ও স্টাফদের কাছ চাঁদা তোলার অভিযোগ ওঠে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ওই সময় স্টাফরা দেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা । ওষুধ কোম্পানী থেকে আদায় করা হয় ৫ লাখ টাকা। রোববার স্থানীয় এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব হাসপাতালের উন্নয়ন কাজের তদারকি করতে গেলে হাসপাতাল স্টাফরা ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা তোলাসহ ৭টি বিষয় উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরেই বেড় হয়ে আসে চাঁদা নেয়ার নানা কাহিনী। প্রশ্ন ওঠেছে , ওই টাকা কারা নিয়েছে। ভিআইপিদের সফরের নামে এমন চাঁদাবাজির বিষয় মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ১০০ শয্যার হাসপাতাল ভবন নির্মান কাজের উদ্বোধন করতে হেলিকপটার যোগে ৮ মে চরফ্যাশনে আসেন। তাকে শুভেচ্ছা জানানো, ক্রেস্ট প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , আলোচনাসভাসহ সকল আয়োজনের ব্যয়ের টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে স্থানীয়ভাবে। তবে এসব আয়োজনে ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী নেতরা। এর পরেও স্বাস্থ্য বিভাগের কাছ থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এদিকে টাকা নেয়াসহ অভিযোগ অস্বীকার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শোভন কুমার বসাক। স্টাফদের কাছ থেকে কোন টাকা চাঁদা তোলা হয় নি । এমন কি কোন ওষুধ কোম্পানী থেকেও কোন টাকা নেয়া হয় নি বলে দাবি করেন। অপরদিকে রোববার লিখিত অভিযোগ প্রদানকারীদের মধ্যে ইমার্জেন্সি এটেনড্যান্ট মোঃ হাফিজ উদ্দিন ও মোঃ রিয়াজ জানান, তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। ইমাজেন্সি’র ৪ জন স্টাফ দেন ২০,০০০ টাকা। সিনিয়র স্টাফরা দেন ১০ হাজার টাকা করে। ডাক্তাররা দেন ১০ হাজার টাকা করে। ঝাড়–দার ও সুইপাররা দেন ৩ হাজার টাকা করে। একই কথা জানান ওই সময় কর্মরত থাকলেও বর্তমানে লালমোহন হাসপাতালের স্টাফ মোঃ জাহাঙ্গীর। এরা আরো অভিযোগ করেন হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ২৫০ মেট্রিক টন লোহা বিক্রি , ১০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের বিদ্যুৎ সংযোগের ৬ লাখ টাকা ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পকেটে গেছে। এসব বিষয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে ডাঃ শোভন জানান, কোন টাকাই আত্মসাৎ করা হয় নি, যার প্রমান অফিসে রয়েছে। এসব ব্যাপারে ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ রর্থীন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, কোন লিখিত অভিযোগ না পাওয়া গেলেও এমন বিষয় উত্থাপিত হওয়ায় ও বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের কারনে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক মাহাবুবুর রহমানের নির্দেশে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। ওই টিম দুই এক দিনের মধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করবেন।