অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলায় ৪ জনের ছাত্রত্ব বাতিল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ঠা জানুয়ারী ২০২০ রাত ০২:৪৯

remove_red_eye

৭৫১

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় জড়িত সাবেক ও বর্তমান ১৬ ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 
 

এই ঘটনায় চারজনের ছাত্রত্ব বাতিল, পাঁচজনের সনদ আটক ও সাতজনকে অন্যত্র বদলি করা হয়।

বৃহস্পতিবার থেকে ছাত্রত্ব বাতিল ও সনদ আটকানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও বদলির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জানান, গত বুধবার বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত তারা হাতে পান। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নিজেদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সবার সম্মতিক্রমে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও সনদ আটকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। আর যাদের অন্যত্র বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাদের পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে আগামী ১ ফেব্রয়ারি থেকে বদলির আদেশ কার্যকর করা হবে।

তবে সভা শেষে তাদের নামে টিসি ইস্যু করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ।

সূত্র জানায়, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাউন্সিলের সুপারিশে জড়িত চার শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, পাঁচ শিক্ষার্থীর মূল সদনপত্র আগামী তিন বছর আটকে রাখা ও ৭ শিক্ষার্থীকে টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দিয়ে অন্য কোনো ইন্সটিটিউটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। তদন্ত কমিটির এই সুপারিশ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডে পাঠানো হয়েছিল। কারিগরি বোর্ড গত ১৫ ডিসেম্বরের সভায় এ সুপারিশ অনুমোদন দেয় এবং দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন মোল্লা।

 

এই সভায় ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় একাডেমিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২০১০ ও ২০১৬ প্রবিধানের নিবন্ধনের ৩.২ ধারা অনুযায়ী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চার ছাত্রের নিবন্ধন বাতিল (ছাত্রত্ব) করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

একইভাবে শেষ পর্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় পাঁচ ছাত্রের সনদ তিন বছরের জন্য জব্দ করার সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার দায়ে সাত শিক্ষার্থীকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিসহ ১৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মিডটার্মে অকৃতকার্য ও ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা দুই শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিনের ওপর চাপ দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে গত ২ নভেম্বর কার্যালয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে ওই দিন দুপুরে অধ্যক্ষ নামাজ শেষে অফিসে ফেরার সময় তাকে টেনে-হিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে পুকুরের পানিতে ফেলে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে মামলা করেন অধ্যক্ষ। এতে সাতজনের নাম উল্লেখসহ ৫৭ জনকে আসামি করা হয়।