অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


ভোলায় অস্তিত্বহীন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামে অনুদানের চিঠি


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০শে জুন ২০২০ রাত ০৮:১৮

remove_red_eye

৯৯৩



সাংস্কৃতিক কর্মীদের  ক্ষোভ ও তোলপাড়

  বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে অস্তিত্বহীন ৬টি সংগঠনের নামে  এক লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ এনে তা  গোপানে উত্তলনের প্রক্রিয়ার বিষয়টি শুক্রবার ফাঁস হলে তোলপাড় শুরু হয় সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে। অভিযোগ রয়েছে একটি চক্র ঢাকায় বসে বিভিন্ন সংগঠন নাম দিয়ে প্রতি বছর সরকারের লাখ লাখ টাকা লুটপাট করছে। এতে মাঠে থাকা প্রকৃত সংগঠনগুলো বঞ্চিত হচ্ছে ।  সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে পাঠানো  ৬টি সংগঠনের নাম উল্লেখ করে বরাদ্দের চিঠি  ১৫ জুন ভোলার  জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারন শাখায় আসে। ওই চিঠিতে ১৯-২০ অর্থ বছরের বরাদ্দপ্রাপ্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়নের সারেগামা সংগীত নিকেতন ও একই এলাকার স্বরলিপি সংগীত শিক্ষা কেন্দ্র । বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর গ্রামের উদয়ন খেলাঘর , ওই উপজেলার বাথানবাড়ি গ্রামের সূর্যতরুন সাংস্কৃতিক সংঘ ও খায়েরহাট ল²ীপুর গ্রামের যুব সংস্কৃতি সংঘ । লালমোহন উপজেলার চরপাতা গ্রামের নবারূন সাংস্কৃতিক সংঘ । মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, মনপুরায় এমন কোন সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। কোন শিল্পীও নেই । সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ কাজলও জানান একই কথা। অপরদিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক রাজিব রতন দে জানান, ওই এলাকায় বরাদ্দপ্রাপ্ত সংগঠনগুলোর কোন অস্তিত্ব নেই। যে সব সংগঠন কাজ করে তাদের নাম নেই ওই তালিকায়। একই কথা জানান, লালমোহন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ জসিম জনি। ভোলা থিয়েটারের সভাপতি নাসির লিটন জানান, তারা সারা বছর জুড়ে মাঠে কাজ করেন, অথচ তাদের সংগঠন এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। অনুদানের জন্য কখন আবেদন করতে হয় ওই খবরও তারা পান না। ক্ষোভ জানিয়ে একই কথা জানান,  সুরের ধারা সংগঠনের পরিচালক উত্তম ঘোষ, বিহঙ্গ সাহিত্য গোষ্টীর সভাপতি অমিতাভ অপু, জীবন পুরাণ আবৃত্তি সংগঠনের সম্পাদক শিল্পী মশিউর রহমান পিংকু  , ভোলা থিয়েটারের সহসভাপতি অতনু করনঞ্জাই, বিহঙ্গ সাহিত্য গোষ্ঠীর আবৃত্তি ও সংগীত শিল্পী রেহানা ফেরদৌস । এদিকে সান এনজিও পরিচালক বিল্লাল হোসেন জানান, তার এলাকায় গত বছর যুব সংস্কৃতি সংঘ নামে একটি সংগঠন তৈরী হয়। ওই সংগঠন অনুদানের জন্য আবেদন করে ছিল।