অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


ভোলা থেকে রাতের আঁধারে তালা ভেঙে গ্যাসবাহী গাড়ি ঢাকায় নেয়ার চেষ্টা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬শে মে ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৯

remove_red_eye

৬২

৬ দফা দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা, ইন্ট্রাকোর ১০টি গাড়ী আটকে দিল স্থানীয়রা




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগসহ ৬দফা দাবিতে অনড় অবস্থায় রয়েছে আন্দোলনকারীরা। ভোলায় অবস্থিত ইন্ট্রাকো কোম্পানীর রিফুইলিং স্টেশনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় স্থানীয়রা। কিন্তু স্থানীয়দের বাঁধা উপেক্ষা করে গেটের তালা ভেঙে রাতের আঁধারে গাড়ীতে করে গ্যাস ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় ইন্ট্রাকো কোম্পানির ১০টি গাড়ী আটকে দিয়েছে স্থানীয়রা। রবিবার রাত ২টা থেকে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত ভোলার বিভিন্ন সড়ক থেকে এ গাড়ী আটক করে এনে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে রাখা হয়।
স্থানীয় আন্দোলনকারীরা জানান, ভোলার গ্যাস ভোলায় ঘরে ঘরে আবাসিক সংযোগ,সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভোলা-বরিশাল সেতুসহ ৬ দফা দাবীতে  গত শনিবার (২৪ মে) দুপুরের দিকে  ভোলা বাংলা স্কুল মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ও  ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ইন্ট্রাকোর রিফুইলিং স্টেশনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় ‘আমরা ভোলাবাসী’র নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয়রা। এর পর ভোলা থেকে গাড়িতে করে বোতলজাত গ্যাস সরবরাহ ঢাকায় বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তুইন্ট্রাকো কম্পানি বাধা উপেক্ষা করে  রাতের আঁধারে গেটের তারা ভেঙে গাড়ীতে করে গ্যাস নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা আটকে দেয়। এ ঘটনায়  সোমবার (২৬ মে) দুপুরে জরুরী সভা করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আমরা ভোলাবাসী সংগঠনের আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ¦ গোলাম নবী আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম রতন, মো. রাইসুল আলম, এনামুল হক, তরিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মীর মোশারেফ অমিসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় ভোলার ২২ লাখ মানুষের দাবি উপেক্ষা করে গ্যাস নেওয়ার চেষ্টার প্রতি তীব্র নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয় যে কোনো মূল্যে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ভোলা থেকে এক বিন্দু গ্যাস ভোলার বাইরে নিতে দেওয়া হবে না এবং গ্যাসের গাড়ি যাতে ভোলার বাইরে যেতে না পারে এ জন্য একটি উপকমিটি গঠন করা হয়।
সভা শেষে আমরা ভোলাবাসী সংগঠনের সদস্য সচিব মীর মোশারেফ অমি সাংবাদিকদের জানান, ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ, সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন, ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ শুরু করা, গ্যাস ভিত্তিক শিল্পকারখানা, ভোলাকে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৬দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত শনিবার ইন্ট্রাকো কোম্পানির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং ইন্ট্রাকো কম্পানির কর্মকর্তাদেরকে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোনো গ্যাসবাহী গাড়ী গেটের বাইরে বের না করার জন্য বলা হয়। কিন্তু ভোলার ২২ লাখ মানুষের দাবি উপেক্ষা করে রাতে আধারে গেটের তালা ভেঙে গাড়ীতে করে গ্যাস নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ভোলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০টি গ্যাস ভর্তি গাড়ি আটক করা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় যতো ধরণের ষড়যন্ত্র হোক সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আমাদের ৬টি দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ভোলাবাসী গ্যাস নিতে দিবো না। যদিও দাবিগুলো সঙ্গে সঙ্গে পুরণ করা সম্ভব না, তবে এ সকল দাবির দৃশ্যমান কোনো কিছু না দেখা পর্যন্ত আমার আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এছাড়াও আটক থাকা গাড়িগুলো যেহেতু গ্যাসভর্তি, তাই এগুলো ইন্ট্রাকো কম্পানির সঙ্গে কথা বলে তাদের ডিপোতে ফেরত দেওয়া হবে।