অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


ভোলায় শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ঠা জুন ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৫

remove_red_eye

৮৫

জেলায় চাহিদার চেয়ে অধিক পশু প্রস্তুত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দ্বীপজেলা ভোলায় জমে ওঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বিভিন্ন হাটে প্রচুর পরিমান দেশী পশু বিক্রির জন্য আনা হলেও হাটে সবচেয়ে আকর্ষণী সকলের নজর কেরেছে ২০ থেকে ২২মন ওজনের বিশালদেহী ষাঁড় ‘রাজা বাবু’। কিন্তু এখনো তেমন বেচা বিক্রি বাড়েনি। এতে করে বিক্রেতারা হতাশায় পড়েছে। অপর দিকে গরুর দাম বেশী হওয়ায় কথা বলে সাধারণ ক্রেতারা হিমসিম খাচ্ছে। উচ্চমূল্যের কারণে ‘রাজা বাবু’ প্রতি আগ্রহ থাকলেও হাত বাড়াচ্ছেন না অধিকাংশ ক্রেতা। তবে স্থানীয়রা আশা করছে ঈদের দুই এক দিন আগে প্রচুর পরিমান গরু ও ছাগল বিক্রি হবে। এদিকে ভোলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছে, ভোলা জেলায় কোরবানীর চাহিদার চেয়ে অধিক পশু প্রস্তুত রয়েছে।

 
সরেজমিনে বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, মহান আল্লাহর সন্তুুষ্টির জন্য পশু কোরবানির উদ্দেশ্য ভোলার বিভিন্ন হাট গুলোতে এখন প্রচুর পরিমান ক্রেতা ও বিক্রেতারদের সমাগম। ভোলার পরানগঞ্জ , ইলিশা হাটে ক্রেতার সমাগম ছিলো চোখে পরার মতো। সারি সারি গরু নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা থাকে পশুর মালিকরা। ক্রেতারা দেশী পছন্দের গরু ও ছাগর কেনার জন্য ঘুরে ঘুরে দেখছেন। দাম যাচাই করছেন। অপর দিকে গবাদী পশুর খামারি ও বিক্রেতারাও বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাটে তাদের পশু নানা সাজে সাজিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আর্কষনের জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু এবারের হাটে সকলের নজর কেড়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান সাহিওয়াল জাতের বিশাল দেহের রাজা বাবুর। চার দিকে থেকে ষাঁড়টিতে দেখছেন উৎসুক মানুষ। ষাঁড়টির মালিক ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের খামারী মো. আল আমিন। তিনি জানান, তার এই ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছেন ৬লাখ টাকা। ষাঁড়টির লাইভ ওয়েট হচ্ছে ২০ থেকে ২২মন। তবে তাঁর বাড়িতে এসে ষাঁড়টির দাম সাড়ে চার লাখ টাকা বলে গেছেন এক ক্রেতা। তিনি সাড়ে ৫লাখ টাকা হলে ষাঁড়টি বিক্রি করে দিবেন।

অপরদিকে বিভিন্ন হাটে প্রতিদিনই সারি সারি গরু নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষায় করছেন পশু বিক্রেতারা। একাধিক ক্রেতা জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেশি। তাই গরু কিনতে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অন্য দিকে একাধিক গরুর মালিক ও বিক্রেতারা জানান, দেশী গরু লালন পালন করতে আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি টাকা খরচ হয়েছে। গো খাদ্যের দামও আগের চেয়ে অনেক বেশী। যার কারনে ক্রেতার কাছে গরুর দাম বেশি বলে মনে হচ্ছে। ক্রেতারা দাম কম বলায় লোকসানের মুখে রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা । এছাড়াও আবহাওয়া খারাপ থাকায় বেচা বিক্রি কম বলে মনে করছেন হাটের ইজারাদারগন।

ভোলা জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভোলায় এবছর ৯০ হাজার ২৫৩টি পশুর চাহিদার বিপরীতে পশু প্রস্তুত আছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৭৬৯টি।

এদিকে ভোলা জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খাঁন সাংবাদিকদের জানান, এবছর ভোলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ১৪৭টি পশুর হাটে রয়েছে। ২৬টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। জেলায় কোরবানির পশুর সংখ্যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমানে রয়েছে। ফলে এ জেলার মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির ঈদ সম্পন্ন করতে পারবে বলে জানান তিনি।