অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৯শে জুন ২০২৫ | ১৫ই আষাঢ় ১৪৩২


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন রিকশাওয়ালা ভাইয়েরা: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮শে জুন ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:০২

remove_red_eye

১৬

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন আমাদের রিকশাওয়ালা ভাইয়েরা। ই-রিকশা লাইসেন্সিং (অনুমোদন দেয়া) সিস্টেমে নিয়ে আসলে আর কেউ তাদেরকে অবৈধ বলতে পারবে না এবং হয়রানিমূলক শাস্তি প্রদান করতে পারবে না। তারা যথাযথ নাগরিক মর্যাদা নিয়ে চলতে পারবে।

আজ শনিবার নগর ভবন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অডিটোরিয়ামে (গুলশান-২) ‘তিন চাকার স্বল্প গতির ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা) প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ই-রিকশা চালকের লাইসেন্স এবং গাড়ির লাইসেন্স হবে অনলাইনে যাতে করে দুর্নীতির সুযোগ না থাকে। শুরুতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ এ নির্দিষ্ট সংখ্যক ই-রিকশা চলবে। 

এছাড়া রিকশা এপস্, ওয়েবসাইট এবং রিকশায় কিউআর (ছজ) কোড থাকবে যেনো সহজে ট্রাফিক পুলিশ রিকশা সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতায় তথ্য পেতে পারে বলে উল্লেখ করেন আসিফ মাহমুদ।

উপদেষ্টা আরো বলেন, ৫ আগস্টের পরে যখন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ছিলো না, তখন শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেমের চেতনায় বিনা পারিশ্রমিকে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছে। পুলিশ এবং যুব অধিদপ্তরের পাশাপাশি মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণে তাই শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ঈদে সড়ক সংক্রান্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ৩২ শতাংশ অটোরিকশার জন্য হয়েছে। অনেক জটিলতা এবং সময় স্বল্পতা সত্ত্বেও সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা এই কার্যক্রম শুরু করছি।’

কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। 

এর আগে নগর ভবনের নিচতলায় সজ্জিত নতুন ডিজাইনের ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজ পরিদর্শন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি  ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) মো. খোদা বখস চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। 

এছাড়া এতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।