অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


মর্মর শব্দ এবং বিষাদের নোনতা জল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ঠা মার্চ ২০২৩ বিকাল ০৪:৫২

remove_red_eye

৩৩০

আনিস ফারদীন

 

মর্মর শব্দ

পায়ের নিচের শুকনো পাতার মর্মর শব্দ
হকচকিয়ে যাই এক অজানা নীল আতঙ্কে;
সামনে ভেসে আসে কতক অযাচিত শব্দ
মৃত্যু, স্তব্ধতা আর জীবনের নীলিন সময়।

কত সবুজ, প্রাণবন্ত ছিল শুকনো এ পাতারা
অথচ সময়ের ঘূর্ণিপাকে আজ ক্লান্ত তারা;
সবুজ পেয়েছে লাল, হলুদের বিমর্ষ আবহ
মৃত আর দগ্ধ ক্ষত সবুজ প্রাণবন্ত এ শরীরে।

যারা বাতাসের আবহে দুলতো সময়-অসময়ে
গাইতো হৈ-হুল্লোড়ে জীবনের সমস্ত রঙিন গান;
আনমনে অগোচরে বাঁধতো রাজ্যের সব স্বপ্ন
আজ তারা যে ঝরে পড়েছে একান্ত অনিচ্ছায়।

তাই আঁতকে উঠি, পাতাদের ঝরে পড়ার শব্দে
ভেবে যাই আনমনে নিষ্ঠুর পাতার অমোঘ মৃত্যুকে;
পাতাদের মতো অসময়ে ঝরে পড়েছে কত জীবন
কবে যে পাতাদের মতো চলে আসে আমারও ডাক!

****

বিজ্ঞাপন

বিষাদের নোনতা জল

জীবনের হিসেব করতে করতে ক্লান্ত মানুষ
বিষাদের নোনতা জল এসে লাগে জিহ্বায়,
বিষাদ স্বাদে শুকিয়ে আসে গলা বার বার;
খকখক কাশিতে আবার শুরু হয় হিসেব
তবু জগতের সব হিসেবে থেকে যায় অমিল।

নাওয়া-খাওয়া সব ভুলে গিয়ে চলে হিসেব
দিন যায়, আবছা অন্ধকারে ঘনিয়ে আসে রাত;
তারায় তারায় ঠাসা থাকে আকাশ, স্বর্গলোক
নক্ষত্র আপন আলোয় ভাসায় শহর, নগর
তবু অন্ধকার ঠেকে, নিকষ কালো অন্ধকার।

দোজখের আগুনে পুড়ে ছারখার হয় চাওয়াগুলো
ছাইচাপা আগুনে নিঃশেষ হয় সব, বাড়ে যন্ত্রণা
পাপের হিসেবের পাল্লা ক্রমশ ভারী হতে থাকে
দুর্বাক ঘূর্ণিতে এলোমেলো হয় আকাশ-বাতাস
জীবনের হিসেব মেলে না, অমিল থেকে যায় সব।

সুত্র জাগো