অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ | ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


অমর একুশের বই মেলায় ভোলার লেখক দিলরূবা জ্যাসমিনের দশম বই শ্রাবণ সন্ধ্যা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ রাত ০২:৫৪

remove_red_eye

১৩৪৩


মোঃ জসিম জনি, লালমোহন : ঢাকায় চলছে অমর একুশে বইমেলা। লেখকদের নতুন নতুন বই আর পাঠকের পদচারণায় জমে উঠেছে বইয়ের প্রাঙ্গণ। এই মেলায় এ সময়ের নারী লেখক দিলরূবা জ্যাসমিনের বেরিয়েছে নতুন বই ‘শ্রাবণ সন্ধ্যা’। পেশায় কলেজ শিক্ষক দিলরূবা জ্যাসমিন স্কুল-কলেজে পড়ার সময় থেকেই লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। এর আগে তাঁর আরো ৯টি কাব্য, প্রবন্ধ, পত্রকথা ও গল্পের বই বের হয়েছে। গত বছর বই মেলায় বেরিয়েছে ‘নির্বাচিত কবিতা ত্রয়ী’।
শিক্ষকতা ও পরিবার মিলিয়ে অনেক সময় দিতে হয় তাঁকে। কিন্তু তাই বলে লেখালেখি থেমে থাকে না। আমাদের দেশে মেয়েদের লেখালেখির অভ্যাস আগে থেকেই ছিল। তাঁদের সৃজনশীলতাও কম নয়। যথাযথ প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন না তাঁরা। আজকাল তো জনসংযোগেরও প্রয়োজন হয়। লেখালেখির প্রতি ভালোবাসা থাকলে ঠিকই সময় বের করে নেওয়া যায়।
দিলরূবা জ্যাসমিনের জন্ম লালমোহন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মাস্টার লেনে। লালমোহন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক একেএম শাজাহান মিয়ার কন্যা। লালমোহনের আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছেন তিনি। লালমোহন করিমূন্নেছা-হাফিজ মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। লিখেছেন লালমোহন থেকে প্রকাশিত সাময়ীকিগুলোতে। স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখি শুরু। বললেন দিলরূবা জ্যাসমিন। তিনি বলেন, ‘লালমোহনের সাময়ীকিগুলোতে নিয়মিত গল্প কবিতা প্রকাশের পাশাপাশি নিজের লেখা নাটক ‘রক্ত গোলাপ’ মঞ্চায়িত হয় ১৯৮৪ সালে। ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠন গীতিচয়ন শিল্পগোষ্ঠীর সাথে যুক্ত। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন।’ 
দিলরূবা জ্যাসমিন বরিশাল ছিলেন বেশ কিছু দিন। পড়ালেখার কারণেই। কলেজ জীবনে বরিশাল নাটক ‘বনা’ এর সাথে যুক্ত ছিলেন। ওই সময় ১৯৯৪ সালে খুলনা বেতারে তাঁর নাটক ‘আপনারা কি বলেন’ প্রচারিত হয়।
সংসার জীবনে ভোলার সুপরিচিত ইত্তেফাকের সাংবাদিক আহাদ চৌধুরী তুহিনের সহধর্মীনি তিনি। নিজেও একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক। সময় পেলেই বই নিয়ে বসেন দিলরূবা জ্যাসমিন। এক একটি সৃষ্টি তাঁর কল্পনায় প্রকাশ হয়। বাংলাদেশে লেখকদের সবসময়ই চেষ্টা থাকে নতুন বই অমর একুশে গ্রন্থমেলাতেই প্রকাশ করার। কিন্তু প্রতিবছর প্রকাশিত হাজার-হাজার বইয়ের ভিড়ে নতুন লেখকদের লেখা কতটা সমাদর পায়? নতুন বা অপেক্ষাকৃত নতুন লেখকেরা কতটা উঠে আসতে পারছেন? সেদিক দিয়ে দ্বীপজেলা ভোলার একজন নারী লেখক হয়ে দিলরূবা জ্যাসমিন একে একে সৃষ্টি করেছেন ১০টি বই। এর মধ্যে প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সুখেরা আমার দুঃখেরা আমার’ ২০১১ সালে বই মেলায় প্রকাশ হয়। পরপর প্রকাশিত হয় যায় দিন একাকী (কাব্য), অণ্যেষা (প্রবন্ধ), আকাশলীনা (গল্প), বিকেলে ভোরের ফুল (কাব্য), পদ্ম পাতায় শিশির (পত্রকথা), নীল জোসনায় কালো গোলাপ (পত্রকথা), রোদেলা (স্মৃতি কথা), নির্বাচিত কবিতা ত্রয়ী (কাব্য) এবং এ বছর শ্রাবণ সন্ধ্যা।